প্রায় বিশ বছর পর চলতি বছরের ৩১ জুলাই রাসেল পারভেজ রাজাকে সভাপতি ও সুমন সিকদারকে সাধারন সম্পাদক করে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ।

 এরপর থেকেই আলোচনা যুবলীগের কমিটি কবে হচ্ছে ?

পিরোজপুর জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটিকে ২০১০ সালের ১ আগস্ট সংগঠনটির তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এর যৌথ স্বাক্ষরে অনুমোদন পায় ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পিরোজপুর জেলা যুবলীগের কমিটি। এরপর ২০১৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের গঠিত কমিটিতে জেলা যুবলীগের কমপক্ষে ৬ জন নেতা স্থান পায়।

যুবলীগের গঠনতন্ত্রে অনুযায়ী সংগঠনের কেউ আওয়ামী লীগ কিংবা এর অন্য কোন সহযোগী সংগঠনের সাথে যুক্ত হলে, তাকে যুবলীগের ওই পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই তার যুবলীগের ওই পদটি চলে যাবে। তবে এসব নিয়মের বাস্তবতা ভিন্ন ।

কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও, নতুন কমিটি গঠন না করায় হতাশ হয়ে পড়েছেন যুবলীগের নেতৃত্বে আসতে চাওয়া অনেক নেতাকর্মীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  কয়েকজন পদ প্রত্যার্শীরা জানান, যুবলীগের গঠনতন্ত্রে অনুযায়ী সংগঠনের কেউ আওয়ামী লীগ কিংবা এর অন্য কোন সহযোগী সংগঠনের সাথে যুক্ত হলে, তাকে যুবলীগের ওই পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। কিন্তু অনেকেই দুটিপদ একসাথে ধরে রেখেছেন । এটা অনিয়ম ও সংগঠণবিরোধী কাজ ।

এর মধ্যে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে দেখা করেছেন জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির শীর্ষ দুই নেতা ও পদপ্রত্যাশী কয়েক সাবেক ছাত্রনেতা ।

সূত্রের খবর, পিরোজপুর জেলা যুবলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া কমিটি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কমিটি অবগত আছে। গতবছর থেকে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস ও বিভিন্ন কারনে কমিটি নিয়ে কাজ করা হয়নি । তবে চলতি বছরের মধ্যেই জেলা যুবলীগের কমিটি করতে আগ্রহী কেন্দ্রীয় কমিটি । সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করতে ও সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব খুঁজছে কেন্দ্র।

তবে জেলা যুবলীগের কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে আসবে না কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষনা করা হবে তা জানতে আরো কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে ।