জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিদ্যালয়ের ওয়াশরুমে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড়। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মশিউর রহমান (৪২) উপজেলার পুনট মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুনট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অনৈতিক আচরণের অভিযোগ ছিল, তবে সামাজিক সম্মানের ভয়ে তা প্রকাশ্যে আসেনি।
ঘটনার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তাকে সাময়িকভাবে ওই স্কুল থেকে বদলি করে পাশের মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে। শুধু বদলি করায় অভিভাবক ও এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি—এ ধরনের অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত, বদলি নয়।
এক অভিভাবক বলেন, “আমার দুই সন্তান এই বিদ্যালয়ে পড়ে। এমন ঘটনার পর আমরা আতঙ্কে আছি। আগেও তিনি অনৈতিক আচরণ করেছিলেন, কিন্তু সামাজিক কারণে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। এবার অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, “আমাদের সহপাঠীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা সবাই মশিউর স্যারের শাস্তি চাই। যেন আর কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন ঘটনা না ঘটে।”
ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিনা খাতুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনার পরে আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদুল আলম বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। প্রতিবেদনটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

