বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সার না পেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। অবরোধের ফলে বকশীগঞ্জ -রৌমারী সড়কের বাট্টাজোড় নতুন বাজারে ২ ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয় এবং সকল যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপর সাড়ে ১২ টা থেকে আড়াই টা পর্যন্ত চলে এই অবরোধ।
পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন ক্ষুব্ধ কৃষকরা।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলায় চলতি রবি মওসুমে ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া সারের তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়। কৃষকরা তাদের চাহিদামত সার পাচ্ছিলেন না। এতে করে কৃষকের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বাট্টাজোড় ইউনিয়নের নতুন বাজারে ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে সার দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বরাদ্দকৃত সারের তুলনায় বেশি কৃষক সার নিতে আসায় ডিলার রোমান মিয়া সার সরবরাহ বন্ধ করে দেন।
এতে ক্ষীপ্ত হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় কয়েকশত কৃষক সড়কে অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে সড়ক অবরোধ করে সকল যান চলাচল বন্ধ করে দেন তাঁরা।
অবরোধের কারণে বকশীগঞ্জ- রৌমারী সড়কে দীর্ঘ ২ কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কৃষকদের সাথে কথা বলেন।
ভোটার আইডি কার্ড দেখে সার সরবরাহের আশ্বাস দিলে কৃষকরা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় কৃষক আয়তুল্লাহ সাজু, রতনা বেগম, মাহমুদ উজ্জামান, কহিনুর বোগম জানান, আমাদের যা সার প্রযোজন তার তুলনায় সার পাচ্ছি না। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, ডিলাররা সার দিতে পারছেন না কিন্তু অবৈধ সার বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দামে সার কিনতে হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়বে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতি মাসেই সারের বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চাহিদার চেয়ে কৃষকরা বেশি সার দাবি করেন। তাই জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে প্রকৃত কৃষকদের সার সরবরাহ করা হবে। কৃষকরা জমির চাহিদামত সার নিলে কোন সঙ্কট হবে না।

