সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় দুটি হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জজ আদালতের সাবেক পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফকে (৫৮) চার দিন ও তার ছেলে অমিনুল হাসান ওরফে রাসেলকে (৩৫) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে শুনানি শেষে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিলাস মন্ডল এই আদেশ দেন।
এর আগে দু’টি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি অ্যাড. আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে অমিনুল হাসান ওরফে রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পৃথকভাবে ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানান, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক নিশাত ও উপ-পরিদর্শক আল আমিন।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক আল আমিন জানান, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তার তদন্তাধীন জিআর ৪০১/২৪(সাত) একটি হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি সাবেক পিপি অ্যাড.আব্দুল লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। রিমান্ড শুনানির ধার্য্য দিন আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিলাস মন্ডল শুনানী শেষে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
অপরদিকে, জিআর ৪১২/২৪ (সাত) হত্যা মামলরার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক নিশাত জানান, তার তদন্তাধীন মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামি অমিনুল হাসান ওরফে রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। বিচারক শুনানী শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্রুত থানায় নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য , বিগত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাতক্ষীরা জজ আদালতের সাবেক পিপি, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আব্দুল লতিফ স্বপরিবারে পালিয়ে খুলনায় চলে যান। তিনি খুলনার বয়রা এলাকায় মৎস্য ভবনের পাশের গলিতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের বাড়ির তিন তলার একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন। এসময় আব্দুল লতিফ হত্যা ও নাশকতাসহ ৮ টি ও তার ছেলে রাসেল হত্যাসহ তিনটি মামলার আসামি হন।
সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকার ৫ তলা বাড়ি ফ্লাট আকারে উকিল কমিশন করে বিক্রিকালে গত ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে খুলনার বয়রা এলাকার ওই বাসা থেকে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আব্দুল লতিফ সাতক্ষীরা সদরের কামারবায়সা গ্রামের মনসুর সরদারের ছেলে। তার ছেলে রাসেল ।
২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের আগে তারা সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুরের বাড়িতেই বাসবাস করতেন।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট এবিএম সেলিম রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, পিপি এডভোকেট শেখ আব্দুস সাত্তার। তাঁকে সহায়তা করেন, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট তোজাম্মেল হোসেন তোজাম।
আসমীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট শফি- উল – ইসলাম।

