হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় আদর্শ পদ্ধতিতে ধানের বীজতলা তৈরি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরির প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে, যার ফলে খরচ ও সময় কম লাগছে এবং সুস্থ্য চারা উৎপাদন নিশ্চিত হচ্ছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কমিউনিটি ভিত্তিক এই আদর্শ বীজতলা পদ্ধতি কোল্ড ইনজুরির ঝুঁকি কমায় এবং উৎপাদন বাড়ায়।
সনাতন পদ্ধতিতে বীজতলায় অধিক বীজ ব্যবহার হয়, চারা লিকলিকে ও রোগাক্রান্ত হয়। কিন্তু আদর্শ পদ্ধতিতে চারপাশে ৬ ইঞ্চি গভীর ও ৫০ সেন্টিমিটার চওড়া নালা রেখে ১-১.২৫ মিটার প্রস্থ এবং ১০ মিটার লম্বা বেড তৈরি করা হয়। দুই বেডের মাঝে ৩০ সেন্টিমিটার নালা রাখা হয় এবং প্রতি বর্গমিটারে মাত্র ৮০ গ্রাম বীজ বপন করা হয়। এতে ৫০-৬০ শতাংশ বীজ সাশ্রয় হয়, চারা সতেজ ও বলবান হয় এবং কম বয়সে রোপণ করলে কুশি বেশি হয়।
সরেজমিনে জগদল ব্লকের ডাহরা ও বর্শিকুড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক মো. আরিফুল ইসলাম, জলিল মিয়া, আশরাফুল, ফরিদ উদ্দিন, খোকন, পংকজ, কাঞ্চন মিয়া, চান মিয়া ও কিরন মিয়াসহ অনেকে কমিউনিটি ভিত্তিতে আদর্শ বীজতলা তৈরি করেছেন। তারা জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুদাসিল হায়দার আলমগীরের পরামর্শে এ পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। এতে পরিচর্যা সহজ এবং উৎপাদন বাড়ছে।
জগদল ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুদাসিল হায়দার আলমগীর বলেন, “বিভাগীয় নির্দেশনা অনুসারে কৃষকদের আদর্শ বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিচ্ছি। এ মৌসুমে অধিকাংশ কৃষক এ পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। চারা সুস্থ্য থাকছে এবং কোল্ড ইনজুরির ঝুঁকি কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মাসুমা আক্তার বলেন, “পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে কমিউনিটি ও আদর্শ বীজতলা স্থাপন করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে প্রতি বিঘায় সাড়ে ৬ কেজি বীজ সাশ্রয় হয়, যা সরকারি অর্থ সংরক্ষণ করে। রাতে পানি দিয়ে দিনে নিষ্কাশন করলে শীতের প্রভাবে চারা মরে যাওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। তাই কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।”
এ পদ্ধতি কৃষকদের জন্য লাভজনক প্রমাণিত হওয়ায় হোসেনপুরে আদর্শ বীজতলার প্রসার ঘটছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.