বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জে পৌষ মাসের শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে।
কনকনে শীতে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন নদ-নদী ও পাহাড়ি জনপদের মানুষ। এ বছর অগ্রাহায়নের শুরু থেকেই জামালপুর উত্তরাঞ্চলের এই জনপদে শীতের তীব্রতা দেখা দেয়।
গত ৫ দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না বকশীগঞ্জ উত্তরাঞ্চল এলাকায়। কনকনে শীত আর কুয়াশায় আচ্ছন্ন রয়েছে পুরো এলাকা। একারণে আবাল বৃদ্ধ, শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে। কুয়াশা ও শীতের কারণে বৃদ্ধ ও শিশুদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। হাসপাতাল গুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালে ডায়রিয়া, আমাশয়, সর্দিজনিত ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের ভিড় বাড়ছে।
বিশেষ করে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশানী নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ হিমেল হাওয়ায় কষ্টে দিনানিপাত করছেন। বকশীগঞ্জ উপজেলার গারো পাহাড়ি জনপদের মানুষ গুলো শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় নি। তবে জেলা প্রশাসন থেকে কিছু কম্বল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা।
সূর্যের আলো না থাকায় কৃষকরা ফসলের মাঠে কাজ করতে পারছেন না। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন।
এদিকে শীত বাড়ার কারণে সকল শ্রেণির মানুষ সাধ্যের মধ্যে গরম পোশাক কিনতে দোকান গুলোতে ভিড় করছেন। নিম্ন আয়ের মানুষ ফুটপাতের দোকানে পছন্দের গরম কাপড় কিনছেন।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান সুমন জানান, এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫৯০ টি কম্বল পাওয়া গেছে। আগামী রবিবার থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতরণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.