মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে পান চাষে দিন দিন বেড়েই চলেছে কৃষকদের আগ্রহ। পতিত জমি বা ছায়াঘেরা নিরিবিলি জায়গাতেও সঠিক যত্ন ও শ্রম দিলে লাভজনক ফসল হিসেবে পানি চাষ ধীরে ধীরে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করছে।
উপজেলার খানপুর, ঢাকুরিয়া, মশ্বিমনগর, খেদাপাড়া ও ভোজগাতিসহ বিভিন্ন গ্রামে পান চাষের আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উৎপাদিত পান সরবরাহ হচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে, যা স্থানীয় অর্থনীতিকেও দৃঢ় করছে।
যদিও দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে পান চাষ হলেও এখনও এটি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পরিচিতি পায়নি। চাষিরা অভিযোগ করেছেন, সরকারিভাবে পান চাষ সম্প্রসারণে পর্যাপ্ত সহায়তা নেই। পাশাপাশি রোগবালাই, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং আধুনিক চাষপ্রণালীর অভাবেও তারা সমস্যায় পড়ছেন।
খানপুর ইউনিয়নের পান চাষি সুবোধ দাস জানান, “আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের পেশা হল পান চাষ। তিন বিঘা জমিতে তিনটি বরজ রয়েছে, যা পরিবারের প্রধান আয় উৎস। আগের তুলনায় এখন বছরে দুই থেকে তিন লাখ টাকার লাভ হয়।”
মনিরামপুর পৌর বাজারের পান ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিৎ দাস বলেন, “পানের চাহিদা এখানে ভালো। প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার ভোরে বিভিন্ন জেলার পাইকাররা বাজারে আসে। বর্তমানে এক পোন (৮০টি পানের সেট) ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।”
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সবুজ পাতার বরজ শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে না, শত শত পরিবারের জীবিকাও নিশ্চিত করছে। পান চাষের এই সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.