নবধারা ডেস্ক
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। শীতের প্রভাবে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গরম পোশাক ও খাবারে সতর্কতার পরামর্শ, চিকিৎসকরা একাধিক স্তরের গরম পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। টুপি, মাফলার ও মোজা ব্যবহার করে শরীর ঢেকে রাখার পাশাপাশি কুসুম গরম পানি পান করতে বলা হয়েছে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল, আদা, রসুন, লেবু ও মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক বলে জানানো হয়।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা জরুরি, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরে থেকে এসে হাত পরিষ্কার রাখা সংক্রমণ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ সতর্কতা, শিশুদের সব সময় গরম কাপড় পরিয়ে রাখা এবং কুসুম গরম খাবার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্টে ভোগা বয়স্কদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ফ্লু টিকা নেওয়ার কথাও জানানো হয়।
ভিড় এড়িয়ে চলার আহ্বান, সর্দি-কাশির সংক্রমণ এড়াতে জনসমাগমপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে গরম পানির ভাপ ও লবণ-পানি দিয়ে গার্গল উপকারী হতে পারে বলে জানানো হয়।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন, জ্বর বেশি হলে, শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বা কাশি দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সামান্য সতর্কতায় সুস্থ থাকা সম্ভব, বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিলে ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

