মেহেদী হাসনাত, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় টেন্ডার ছাড়াই একটি পুরাতন স্লুইজ গেট ভেঙে ভাঙারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কাচারীভিটা বাজারের উত্তর-পূর্ব পাশে সাতলা–বাগধা বেড়িবাঁধের ওপর নির্মিত পুরাতন স্লুইজ গেটটি কোনো ধরনের টেন্ডার ছাড়াই ঠিকাদার আবুল হাসান ভেঙে ফেলেন এবং এর মালামাল বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কাচারীভিটা গ্রামের সমাজসেবক আক্তার হোসেন হাওলাদার জানান, ১৯৯০ সালে সাতলা–বাগধা বেড়িবাঁধের কাচারীভিটা এলাকায় একটি স্লুইজ গেট নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ওই স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন একটি বোট পাস (স্লুইজ গেট) নির্মাণের টেন্ডার হয়। মিজানুর আলম ও আরিয়ান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। কাজ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি কোনো অনুমোদন ছাড়াই পুরাতন স্লুইজ গেটটি ভেঙে বিক্রি করতে শুরু করে। এলাকাবাসী বাধা দিলেও ঠিকাদার তা উপেক্ষা করে স্লুইজ গেটের মালামাল বিক্রি করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয় মুদি দোকানদার রতন বাড়ৈ বলেন, “শুনেছি টেন্ডার ছাড়াই ঠিকাদার এই স্লুইজ গেট ভেঙেছে। গত কয়েক দিন ধরে ঠিকাদারের লোকজন স্লুইজ গেটের রড টমটম গাড়িতে করে নিয়ে ভাঙারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আবুল হাসান বলেন, কাচারীভিটা বাজারের সাতলা–বাগধা বেড়িবাঁধের ওপর পুরাতন স্লুইজ গেটের স্থানে নতুন স্লুইজ গেট নির্মাণ করা হবে। এ কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে পুরাতন স্লুইজ গেটটি ভেঙে রাখা হয়েছে। তবে স্লুইজ গেটের কোনো মালামাল বিক্রি করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শওকত ওসমান বলেন, “ঠিকাদার যদি টেন্ডার ছাড়া পুরাতন স্লুইজ গেট ভেঙে মালামাল বিক্রি করে থাকে, তাহলে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

