নবধারা ডেস্ক
ইসলামের দৃষ্টিতে মিথ্যা বলা শুধু একটি সাধারণ নৈতিক দুর্বলতা নয়; বরং এটি ঈমানের পরিপন্থী একটি গুরুতর পাপ। কোরআন ও হাদিসে মিথ্যাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে এবং একে বহু গুনাহের উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনের সুরা নাহল (১৬:১০৫)-এ আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে বলেন, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহে ঈমান রাখে না, তারাই মিথ্যা রচনা করে। এই আয়াত থেকে স্পষ্ট হয় যে, মিথ্যা বলা ঈমানহীনতার একটি বড় লক্ষণ এবং মিথ্যাবাদীরা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
মিথ্যা: কুফরি ও জাহেলিয়াতের চিহ্ন, ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, সত্য হলো ইসলামের মূলভিত্তি আর মিথ্যা হলো কুফর ও জাহেলিয়াতের প্রতীক। একজন মুমিনের চরিত্রে সত্যবাদিতা অপরিহার্য গুণ, আর মিথ্যা তার বিপরীত অবস্থান নির্দেশ করে।
সব পাপের জননী, হাদিসে মিথ্যাকে “সব পাপের জননী” বলা হয়েছে। কারণ একটি মিথ্যা থেকে প্রতারণা, জুলুম, গিবত, অপবাদসহ অসংখ্য পাপের জন্ম হতে পারে। রাসুলুল্লাহ (স:)বারবার উম্মতকে মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সত্যবাদিতাকে জান্নাতের পথে পরিচালনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
পরকালের কঠিন পরিণতি, কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, যারা দুনিয়াতে মনগড়া মিথ্যা রচনা করে বা অন্যের নামে মিথ্যা আরোপ করে, কেয়ামতের দিন সেই মিথ্যাই তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। পরকালে এর শাস্তি হবে কঠোর ও লাঞ্ছনাকর।
ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, মিথ্যা বলা, মিথ্যা প্রচার করা কিংবা কারো ওপর মিথ্যা আরোপ করা গুরুতর অপরাধ। এটি শুধু সামাজিক অনৈতিকতা নয়, বরং ঈমানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। তাই একজন সচেতন মুসলমানের কর্তব্য হলো, সব পরিস্থিতিতে সত্যের ওপর অবিচল থাকা এবং মিথ্যা থেকে সম্পূর্ণভাবে দূরে থাকা।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.