Nabadhara
ঢাকামঙ্গলবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আশাশুনিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপির বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) 
ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫ ৭:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) 

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বেউলা শেখ আব্দুস সোবহান কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আরেফিন শান্তর বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে তদন্ত পরিচালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের ডাঃ জয়ন্ত কুমার মন্ডল, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফরহাদ জামিল এবং ইপিআই কর্মকর্তা মহিবুর রহমান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিএইচসিপি আরেফিন শান্ত ২০২৩ সালে যোগদানের পর থেকে নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থাকা, ঔষধ সরবরাহ নেই দেখিয়ে রোগীদের ঔষধ না দেওয়া, রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ, অফিস সময় মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলা এবং প্রতি রোগীর কাছ থেকে ৫ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত সিএইচসিপি আরেফিন শান্ত লিখিত বক্তব্য জমা দেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি সরকারি বিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং সময়মতো ক্লিনিক খোলা ও বন্ধ করেন। কোনো রোগীর সাথে খারাপ আচরণ বা অনিয়মের সাথে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অভিযোগে ১০০ জনের স্বাক্ষর থাকলেও তদন্তকালে মাত্র ২-৩ জন উপস্থিত ছিলেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

এদিকে ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগী সাবিনা খাতুন জানান, তিনি নিয়মিত ঔষধ পান এবং সিএইচসিপির আচরণ ভালো। কোনো ধরনের খারাপ ব্যবহার বা অনিয়ম তিনি কখনো দেখেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুবর রহমান বলেন, ক্লিনিকের সেবার মান ভালো এবং তারা কখনো ঔষধ ছাড়া ফেরেননি। অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে তিনি মনে করেন।

অন্যদিকে ইউপি সদস্য শীষ মোহাম্মদ জেরী অভিযোগ করে বলেন, তিনি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সভাপতি হলেও কোনো সভায় তাকে ডাকা হয়নি। কোনো রেজুলেশন ছাড়াই রোগীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে ৫ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে এবং কর্মকর্তার আচরণ সন্তোষজনক নয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ডাঃ জয়ন্ত কুমার মন্ডল বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হবে, পরবর্তী ব্যবস্থা তিনি গ্রহণ করবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।