নবধারা ডেস্কঃ

 টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মস্থান। এই পৌরসভায় তার বাড়ি ও নির্বাচনী এলাকা। এ পৌরসভায় জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চির নিদ্রায় ঘুমিয়ে আছেন। সংগত কারনেই বাংলাদেশের সকল পৌরসভা থেকে এ পৌরসভার গুরুত্ব আলাদাভাবে বহন করে।

৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত টুঙ্গিপাড়ায় এ হেবিওয়েট প্রথম শ্রেনীর পৌরসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন পাবার পর তার বিরুদ্ধে আর কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। তাই বিনাভোটে মেয়র নির্বাচিত হন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের সদস্য শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল। ৫৭ বছর বয়সী শেখ টুটুল ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রীঃ টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব বুঝে নেন। নবধারার একান্ত আলাপচারিতায় মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল জানালেন সে গল্প।

•  আপনি দায়িত্ব গ্রহণের পর টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার কি কি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এবং এসব সমস্যা নিরসন কল্পে কি কি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নবধারা কে বলেন, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকা, টুঙ্গিপাড়ায় প্রতি বছর ৩/৪ মাস পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির অভাব, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন না থাকা সহ বিভিন্ন সমস্যা ছিল। ময়লা অপসারণের জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে ময়লা-আবর্জনা পরিশোধন করে জৈবসার ও বায়োগ্যাস উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য আধুনিক মানের পানি পরিশোধনাগার নির্মাণের জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন, তিন চার মাস এর মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া একটি আধুনিক বাস টার্মিনাল ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে যা উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া একটি পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের নির্মান কাজ প্রায় শেষের দিকে। এটি হবে টুঙ্গিপাড়ার প্রথম চলন্ত সিঁড়ির মার্কেট। এছাড়াও ১ টি ড্রেন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ২ টি ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে।

“বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য আধুনিক মানের পানি পরিশোধনাগার নির্মাণের জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন, তিন চার মাস এর মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।”

-শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, মেয়র, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা

মেয়র জানান, টুঙ্গিপাড়ার পৌর নাগরিকদের যাতে ভোগান্তি না হয় সেজন্য পৌরকর, ট্রেড লাইসেন্স সহ বিভিন্ন সনদ অনলাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। পানির বিল অনলাইনে পরিষদের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন, আগামী মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

আমি ক্ষমতা গ্রহণের পরের মাসেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সফল করতে টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা ও সড়কে আলপনা করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পুকুরে একটি আকর্ষণীয় পানির ফোয়ারা নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত দুইটি ঘাটলা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থান এ ঘাটলা পরিদর্শন করে এসব পর্যটকেরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে। উপজেলায় একটি প্লাজমা টিভি স্থাপন করা হযেছে। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

• টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা কি?

এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র শেখ তোজাম্মেল হোসেন টুটুল নবধারা কে বলেন, জাতির পিতার সমাধি সৌধ পরিদর্শনের জন্য পর্যটকেরা টুঙ্গিপাড়াতে আসেন তাদের জন্য একটি আধুনিক ভাসমান রেস্তোরাঁ স্থাপন করবো যা হবে পরিবেশ বান্ধব আধুনিক রেস্তোরা।

“বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত দুইটি ঘাটলা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থান এ ঘাটলা পরিদর্শন করে এসব পর্যটকেরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে। খেলাধুলার জন্য টুঙ্গিপাড়ায় শেখ রাসেলের নামে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার জন্য আমরা চিন্তা ভাবনা করছি।”

-শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, মেয়র, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা

এছাড়া, শেখ রাসেল শিশু পার্কের আধুনিকায়ন ও শিশু বান্ধব করতে আরো নতুন নতুন রাইডার স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। খেলাধুলার জন্য টুঙ্গিপাড়ায় শেখ রাসেলের নামে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার জন্য আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। সবমিলিয়ে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা হবে আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল পৌরসভা। এজন্য আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি ও পৌরসভার সম্মানিত নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করি।

নবধারা/বিএস/এমএইচ০০৭