বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করতে জামাত বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের পোলসাইর গ্রামের গনেশ পাগলের মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শনে এসে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলোচনা সভায় তিনি কোটালীপাড়াবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা ধন্য। আপনাদের এমপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সার্বক্ষণিক ভাবে আপনাদের নিয়ে ভাবেন। তঁার শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। তিনি আপনাদেরকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আপনারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আর্শিবাদ করবেন। তিনি যেন ভাল থাকেন। তিনি ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে।

পোলসাইর গনেশ পাগল দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি নকুল চন্দ্র বৈরাগীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, পৌর মেয়র হাজী মোঃ কামাল হোসেন শেখ, হিরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া বক্তব্য রাখেন।

এরপর মাহবুব আলী খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন দুর্গা মন্দির ঘুরে দেখেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে অনুদান বিতরণ করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মন্দিরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, সাবেক ধর্ম মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লার সহধর্মীনী  এডভোকেট রাশিদা পারভীন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান হাজরা, কামরুল ইসলাম বাদল, রুহুল আমিন খান, আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল ইসলাম রুনি, আলাউদ্দিন হাওলাদার, আতিকুজ্জামান খান বাদল, শেখ টুটুল, ফরমান মুন্সী, এস এম ইস্রাফিল, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবলু হাজরা, যুবলীগ নেতা বুলবুল আহম্মেদ হাজরা, ছাত্রলীগ নেতা শামিম দাড়িয়াসহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এ  উপজেলার ৩০৩টি দুর্গাপূজা মন্ডপে ৩লক্ষ ৩হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে প্রতিটি মন্দিরে ৩হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।  এছাড়াও সরকারি ভাবে প্রতিটি মন্দির ৫শত কেজি করে চাল পেয়েছে। অনেক দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা মন্দিরে মন্দিরে অনুদান দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এ উপজেলার মন্দিরগুলোতে যে অনুদান পেয়েছে তা দিয়ে সুন্দর ভাবে পূজা করা সম্ভব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসে বলেই এটা সম্ভব হচ্ছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে একটি গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তাদের এই চেষ্ট সফল হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সদা জাগ্রত। তারা এ দেশে কোন অপশক্তিকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দিবে না।

পৌর মেয়র হাজী মোঃ কামাল হোসেন শেখ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে অহিংস ও অসাম্প্রদায়িক একটি রাজনৈতিক দল। এ দলের নেতা কর্মীদের কাছে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই। সাম্প্রদায়িকতার বিষদঁাত ভেঙ্গে দিতে এ দলের নেতা-কর্মীরা সদা প্রস্তুত।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাদল বলেন,  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লীলাভূমি কোটালীপাড়া। এখানে ধর্মীয় উৎসব গুলোকে আমরা ভাগাভাগি করে পালন করি। আমরা গর্বিত আমাদের এখানের এমপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার শাসন আমলে এ দেশের সব ধর্মের মানুষেরা নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারছে। আমরা কোটালীপাড়াবাসী সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদের প্রিয় নেত্রীকে দীর্ঘায়ু দান করেন। তিনি যেন সুস্থ থেকে দেশের মানুষের সেবা করতে পারেন।

এদিকে কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা, আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হান্নান শেখ, রামশীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোকন বালা,  জেলা পরিষদ সদস্য দেবদুলাল বসু পল্টু, শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যজ্ঞেশ্বর বৈদ্য অনুপ, কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার মধু, আওয়ামী লীগ নেত এস এম ইস্রাফিল, হান্নান মোল্লা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন নিজ নিজ এলাকায় ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে দুর্গা মন্দিরে অনুদান প্রদান করেন। #