মোঃ জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া, নড়াইলঃ
নড়াইলের নড়াগাতী থানার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদে জাতীর জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুনরায় দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন চৌধুরী।
১৮ অক্টোবর (সোমবার) পরিষদে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন করতে গিয়ে তিনি হতবাক হয়ে যান। সরকারী অফিসে সরকারী নির্দেশনা এভাবে অবমাননা করা হচ্ছে দেখে তিনি তাৎক্ষনিক ইউএনও মোঃ আরিফুল ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন উপলক্ষ্যে পরিষদের কোন সদস্য উপস্থিত না থাকায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
সচেতন মহল জানান, নতুন ভবনে আসার আগে নড়াগাতী বাজারে ভাড়া ঘরেই চলতো পরিষদের সরকারী কার্যক্রম। সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক জাতীর জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও সেখানে ছিল। ২০২০ সালে ২৩ এপ্রিল আলাউদ্দিন চৌধুরী মিথ্যা মামলায় বরখাস্ত হয়ে দীর্ঘ ১ বছর ৯ মাস পরিষদের বাহিরে থাকা অবস্থায় ওই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহীন চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন এবং ওই বছরের মে মাসে অফিসটি পরিষদের নিজস্ব জায়গায় নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়। ইতিমধ্যে মিথ্যা মামলা থেকে তিনি নির্দোষ প্রমানীত হয়ে ১৩ অক্টোবর পুনরায় দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন।
কিন্তু নির্বাচনী ঝামেলায় ব্যস্ত থাকায় আজ শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন করতে গিয়ে পরিষদের কোন সদস্যের উপস্থিতি না দেখে এবং জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না দেখে তিনি বিস্মিত হন।
এ বিষয়ে জয়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে বেশীরভাগ সদস্যই বিএনপি পন্থী। করোনাকালীন সময়ে কালিয়ার সাবেক ইউএনও নাজমুল হুদার নির্দেশক্রমে ত্রানের চাউল বাড়ী বাড়ী বিতরণের জন্য রেজুলেশন করে আলাদাভাবে ৯ ওয়ার্ডের সদস্যদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু সদস্য সচিবের সাথে হাত মিলিয়ে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া রেজুলেশন তৈরী করে আমাকে ফাঁসিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মিথ্যা মামলা থেকে নির্দোষ প্রমানীত হয়ে স্বপদে বহাল হওয়ার পর আজ নতুন ভবনে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন উপলক্ষ্যে গিয়ে দেখি জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই এবং কোন সদস্যের উপস্থিতি না দেখে তাৎক্ষনিক আমি ইউএনও কালিয়াকে বিষয়টি অবহিত করি। এছাড়া উদ্যোক্তা জসিমকে ছবি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কিছুই জানেনা বলে জানান।
মোঃ আলাউদ্দিন চৌধুরী আরো বলেন, পূর্বের অফিসে জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি আমি আমার অর্থায়নে সংরক্ষণ করেছিলাম। সেই ছবি কোথায় গেল এর কোন সদুত্তর তারা দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে ইউএনও কালিয়া মোঃ আরিফুল ইসলাম নবধারা কে বলেন, চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি ফোনে অবগত করেছে। পরবর্তীতে লিখিতভাবে আবেদন করলে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।