মোছা: কাবা কাকলি, কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবি নজরুল সরকারি কলেজে রক্তাক্ত জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে পোস্টার প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে কবি নজরুল সরকারি কলেজে এ আয়োজনের শুরুতেই বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে সচিত্র পোস্টার প্রদর্শন করেন। এসব পোস্টারে উঠে আসে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপট ও শহীদদের আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস। পরে কলেজ অডিটরিয়ামে ‘রক্তাক্ত জুলাই’ শিরোনামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক মিলকী আমাতুল মুগনির সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মাদ হায়দার মিঞা এবং মূখ্য আলোচক ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হাবিবুল আলম মিয়া।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
এছাড়াও, কলেজ শাখার সকল ছাত্র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান দেন এবং রক্তাক্ত জুলাইয়ের প্রেক্ষাপটে তাঁদের নিজ নিজ ভূমিকা তুলে ধরেন। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মিলকী আমাতুল মুগনি রক্তাক্ত জুলাইয়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ হায়দার মিঞা বলেন, রক্তাক্ত জুলাই কোনো কল্পিত কল্পনা নয় এই যে আমাদের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বাস্তব এই শৈশব।পাশাপাশি, তরুণ প্রজম্মকে এই রক্তাক্ত অধ্যায় থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজে যারা শহীদ ও আহত হয়েছে এবং যারা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে তাদের প্রতি আমার মোবারকবাদ ও শুভেচ্ছা। রক্তাক্ত জুলাই আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক বেদনাবিদুর অধ্যায় যা আজও গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচারের জন্য লড়াইয়ের প্রেরণা যোগায়।
তিনি কলেজের সকল শহীদ এবং বাংলাদেশের সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, কলেজের সকল শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ঐতিহাসিক জুলাইয়ের প্রেক্ষাপট ধরে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। আয়োজনের শেষে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় এবং সবার জন্য দোয়া ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করে।