পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর সদর উপজেলার বৈরামপুর গ্রামে মোবাইল ফোন কেনার টাকার জন্য নিজের দাদিকে গলা কেটে হত্যা করে নাতি মোরসালিন। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর সে স্বীকার করেছে, ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল চেয়ে দাদি রাকেয়া বেগমের কাছে আবদার করেছিল সে। দাদি রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে সে নিজেই।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, রাবেয়া বেগম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তে অগ্রগতি হলে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের নাতি মোরসালিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে সে দাদিকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার কাছ থেকে গাঁজাও উদ্ধার করা হয়।
মোরসালিন পিরোজপুর শহরের একটি খাবার হোটেলে কাজ করতো। ঘটনার দিন ২৪ জুলাই রাতে হোটেল থেকে ছুটি নিয়ে গ্রামে আসে। রাতের আঁধারে জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে সে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করে এবং পরে আবার শহরে নিজ কর্মস্থলে ফিরে যায়, যেন কিছুই হয়নি।
এ ঘটনায় আগে নিহতের ছেলে লিটন হালদার অভিযোগ করেছিলেন, স্থানীয় রুমান হাওলাদারের পরিবারের সঙ্গে তাদের জমিজমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল এবং তারাই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তবে তদন্তে বেরিয়ে আসে রক্তের সম্পর্কের ভয়াবহ রূপ নিজ নাতিই এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রবিউল ইসলাম বলেন, “মোরসালিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ড। আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”