অশোক মুখার্জি, কলাপাড়া প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মাছ ধরার ট্রলার এফবি সাগরকন্যা গভীর বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ৪ দিন পর ১০ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৫ জন জেলে। শুক্রবার সকালে বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়ার ৭৫ কিলোমিটার গভীরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার সকালে দুইটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসমান অবস্থায় ১০ জেলেকে উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে রাজিব, রফিক ও রাহাতের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি জেলেরা কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উদ্ধারকৃত জেলেরা হলেন:
সাগর (২২), রাজিব (২৫), সাগর (৩৩), ইব্রাহিম (৩৩), রাহাত (৩৩), হারুন (২৭), হাসান আকন (৩৩), হাসান (৩০), রফিক (৪০) এবং হারুন (৪৫)।
তাদের বাড়ি লালুয়া, আলীপুর, বালিয়াতলী, আমতলী ও নোয়াখালী এলাকায়।
উদ্ধার হওয়া জেলে হাসান আকন জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে আব্দুর রশিদ মাঝির নেতৃত্বে ১৫ জন জেলে নিয়ে মহিপুর ঘাট থেকে ট্রলারটি গভীর সাগরে যায়। পরদিন ভোরে প্রচণ্ড ঝড় ও উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে ট্রলারটি দুমড়ে-মুচড়ে ডুবে যায়। প্রথমেই একজন জেলে হারিয়ে যান, পরে বাঁশ ও ফ্লুটের সাহায্যে বাকি ১৪ জন ভেসে থাকেন। এরপর আরও পাঁচজন সমুদ্রে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন।
মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান জানান, এ ঘটনায় ২৬ জুলাই ট্রলার মালিক কিশোর হাওলাদার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালানো এবং দুর্ঘটনায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।