হুমায়ন কবির মিরাজ, বেনাপোল
বেনাপোল স্থলবন্দরে ট্রাকচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় এবং বেআইনি অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ৪০ জন আনসার সদস্যকে শাস্তিমূলক বদলি করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে আনসার সদর দপ্তরের নির্দেশে এ বদলির আদেশ কার্যকর করা হয়।
বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে মোট ১৬৩ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম দফায় ৪০ জনকে বদলি করা হলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে ধাপে ধাপে আরও সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বন্দরের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার অসিত কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আনসার ক্যাম্পের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং বাহিনীর ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বন্দরের ট্রাক প্রবেশ গেটগুলোতে ‘বকশিশের’ নামে ট্রাক প্রতি ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছিল। এসব টাকা আদায়ের পেছনে আনসার সদস্য ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা পিমা-এর সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে আসে।
সংশ্লিষ্টদের বরাতে জানা যায়, বর্তমানে বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আনসারের ১৬৩ জন সদস্য এবং পিমা নিরাপত্তা সংস্থার ১২৯ জন কর্মী। এসব সদস্যদের বিরুদ্ধেও পণ্যবাহী ট্রাক থেকে নিয়মিত ১০ থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
চাঁদা নেওয়ার ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিকবার প্রকাশ পায়, যা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এছাড়া বন্দরের ভেতরে মাদক পাচার এবং দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়েও একাধিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ হয় সরকারের কাছে।
অবশেষে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় বেনাপোল বন্দর থেকে আনসার সদস্যদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।