আমিনুল ইসলাম, দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর দুর্গাপুরে শাক-সবজির দাম লাগামছাড়া। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন স্থানীয় চাষি ও ক্রেতারা। অপরদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, টানা বর্ষণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, ফলে বেড়েছে দাম।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম। বেগুন মানভেদে ৮০-১২০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, লম্বা লাউ ৪০-৫০ টাকা, চালকুমড়া ৪৫-৫০ টাকা, লাল শাক ৪০ টাকা ও পুঁইশাক ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
চাষিদের অভিযোগ, পাইকাররা কম দামে সবজি কিনে বাজারে সিন্ডিকেট করে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। উদাহরণস্বরূপ, সিংগা হাটে এক মণ বেগুন ১,৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ফলে প্রতি মণে প্রায় ২ হাজার টাকা লাভ করছে ব্যবসায়ীরা।
শুধু সবজি নয়, মাছ ও পোলট্রির দামও ঊর্ধ্বমুখী। ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৬০-১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে ২ কেজি ওজনের রুই ৩৬০ টাকা, বড় আকারের কাতলা ৫০০-৭০০ টাকা, মৃগেল ৩৮০ টাকা এবং দেশি কৈ-শিং-চিংড়ি ১,২০০-১,৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে। ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করছে। তারা বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।