মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক উন্নয়নের অঙ্গীকার নিয়ে বাতিঘর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনের সভাপতিত্বে ‘শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) দেশমা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কয়েকশো শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক অংশ নেন।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের আইনজীবী ও সমাজসেবক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক এবং বিজুল দারুল হুদা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোঃ নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের চিফ এ.এইচ. তৌফিক আহমেদ এবং বিনাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বাদশা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ, মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের অকাল মৃত্যু এবং বাতিঘরের অন্যতম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোজাহার ইসলাম স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বক্তারা শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, উচ্চশিক্ষা, নারী শিক্ষা ও মানসিক বিকাশের গুরুত্ব তুলে ধরেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন,শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। বাতিঘর ফাউন্ডেশনের মতো সামাজিক সংগঠনগুলো শিক্ষার অগ্রযাত্রায় শক্তিশালী সহায়ক ভূমিকা রাখছে। অনুষ্ঠানে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে ৩০০ শিক্ষার্থীর মাঝে আমগাছের চারা বিতরণ করা হয়।
বাতিঘর ফাউন্ডেশনের সভাপতি আর্কিটেক্ট মোঃ রুবেল ইসলাম অনুষ্ঠানে ইউনিয়নের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিরামপুর উপজেলা আমীর হাফিজুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, “বর্তমান প্রজন্মকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিলে তারা ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। এ ধরনের সংবর্ধনা ও উৎসাহমূলক আয়োজন শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি করে।”
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন ওএবি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মোঃ আসাদুজ্জামান তুহিন এবং বাতিঘর ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র মামুনুর রশিদ। মামুনুর রশিদ জানান, বাতিঘর ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতেও শিক্ষামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশাকার মোছাদ্দুল ইসলাম এবং বাতিঘর ফাউন্ডেশনের সংগঠক মেহেদুল ইসলাম (DUET)।