মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরে কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গত এক সপ্তাহে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে শতাধিক ব্যক্তি কামড়ে আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে অর্ধশতাধিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে র্যাবিস (জলাতঙ্ক) ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাবিস ভ্যাকসিনের মজুদ শুন্যের কোঠায় নেমে আসায় রোগীরা বিপাকে পড়েছেন।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, আক্রান্তরা ভ্যাকসিন নিতে আসছেন কিন্তু সরবরাহ না থাকায় অনেকে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই বাইরে ফার্মেসি থেকে নিজ খরচে ভ্যাকসিন কিনে নিচ্ছেন।
সদর ইউনিয়নের দেবিদাসপুর গ্রামের কলেজছাত্রী হাবিবা খাতুন বলেন, বিড়ালে কামড়ে আক্রান্ত হওয়ার পর ভ্যাকসিন নিতে গেলে জরুরি বিভাগ থেকে ভ্যাকসিন না থাকায় ৫৫০ টাকা দিয়ে বাইরে থেকে কিনে ভ্যাকসিন পেয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন কন্দোর্পপুর গ্রামের গৃহবধু সুলতানা বেগম ও হাকোবা গ্রামের কিশোরী অরন্য কৃন্ডু।
জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান ও ওয়ার্ডবয় দেবাশীষ সরকার জানান, সকালে তিনজন রোগী ভ্যাকসিন নিতে আসলেও সরবরাহ না থাকায় তাদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন এনে দিতে হয়।
আলীপুর গ্রামের অধির রায়ের স্ত্রী অঞ্জলী রায় জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ পেতে সমস্যা হচ্ছে। মাছনা গ্রামের হাফিজুর রহমান ও ষোলখাদা গ্রামের আকবর আলী টাকার অভাবে বাজার থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পারেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ভ্যাকসিনের মজুদ শেষ হয়েছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অনুপ কুমার বসু বলেন, ১৩ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৫ জন রোগীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. ফাইয়াজ আহমেদ ফয়সাল জানান, জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না জানান, আপদকালীন সময়ে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।