বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জে জমি নিয়ে ভাই ও বোনের দ্বন্দ্বের জের ধরে দায়ের করা মামলায় এক সাংবাদিক ও এক মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জামালপুরের আমলী আদালতের বিচারক লতা দাস সাংবাদিক মনিরুজ্জামান লিমন ও মাদ্রাসা শিক্ষক রেজাউল করিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সাংবাদিক মনিরুজ্জামান লিমন উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দনিক প্রতিদিনের কাগজের বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের জানকিপুর মির্ধাপাড়া গ্রামের ইসহাক আলীর ছেলে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট ইসমাইল সিরাজীর সঙ্গে তার বোন স্বপ্না বেগমের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
স্বপ্না বেগম একই গ্রামের মৃত মফিজল হকের ছেলে পল্লী চিকিৎসক মিল্লাত মিয়ার স্ত্রী ও ইসমাইল সিরাজীর আপন বোন।
ওই বিরোধের জের ধরে গত ২১ জুলাই স্বপ্না বেগমের ভাই ইসমাইল সিরাজী বাদী হয়ে জামালপুর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্বপ্না বেগমের স্বামী মিল্লাত মিয়া, স্বপ্না বেগমের দেবর সাংবাদিক মনিরুজ্জামান লিমন ও আরেক দেবর মাদ্রাসা শিক্ষক রেজাউল করিমকে আসামী করে একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলায় বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক সাংবাদিক মনিরুজ্জামান লিমন ও মাদ্রাসা শিক্ষক রেজাউল করিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা জানান, আইনজীবী ভাই ও তার বোনের দ্বন্দ্বের জেরে সাংবাদিক ও মাদ্রাসা শিক্ষককে পরিকল্পিতভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিক লিমনের মুক্তি দাবি করেছেন বকশীগঞ্জ উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।
এর আগে জামালপুর কোর্টে মামলা দায়েরে বাঁধা প্রদান ও পূর্বের মামলার ৪ নম্বর স্বাক্ষীকে দিয়ে উল্টো আরেকটি মামলা দায়ের করায় নিজ ভাই ইসমাইল সিরাজীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন তার বোন স্বপ্না বেগম।