নোয়াখালী প্রতিনিধি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর গুরুত্বপূর্ণ আসন ‘নোয়াখালী-০১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি)’ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রথিতযশা আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রার্থিতার ঘোষণা দেন।
ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, “মানুষ পরিবর্তন চায়, কিন্তু বিকল্পের অভাবে তারা বাধ্য হয়ে পুরনো ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। আমি সেই বিকল্প হয়ে মানুষের সামনে দাঁড়াতে চাই। বড় দলের গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে থেকে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করেছে। এখন মানুষ এনালগ রাজনীতি, মিছিল-মিটিং, শোডাউন—এসব আর চায় না। তারা চায় পরিষ্কার ভাবনা ও আধুনিক নেতৃত্ব। তাই এখন ক্লিন ইমেজের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য উপযুক্ত সময়। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে তৃণমূলের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। আর সে ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যম সবচেয়ে বড় মাধ্যম।”
নিজেকে “নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি” হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চাটখিল-সোনাইমুড়ির মানুষ শিক্ষিত, সচেতন। তারা নতুন নেতৃত্ব খুঁজছেন। আমি যদি সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে পারি, তবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করব।”
ব্যারিস্টার ওমর ফারুক আরও বলেন, “২০২৪ সালে আমি বিকল্পধারা বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করি এবং তখনকার নির্বাচনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিই। আমি সবসময় জনগণের অধিকার ও স্বচ্ছ রাজনীতির পক্ষে কথা বলেছি। জুলাই আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে ছিলাম, গ্রেপ্তার ইস্যু ও সহিংসতার বিরুদ্ধেও স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছি।”
“নির্বাচিত হতে পারলে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব। শিশু-কিশোরদের স্কুলমুখী করতে না পারলে কিশোর গ্যাং, মাদক—এসব সামাজিক ব্যাধি দূর করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি, যারা পড়ালেখা শেষ করেও চাকরি পাচ্ছে না, তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাই হবে আমার অন্যতম লক্ষ্য।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। তারা বিভিন্ন সমসাময়িক ইস্যুতে ব্যারিস্টার ওমর ফারুকের মতামত জানতে চান, এবং তিনি খোলামেলা উত্তর দেন।

