গিয়াস উদ্দিন মিয়া, গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালÑঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্তের কারনে বেহাল হয়ে পড়েছে। ব্যস্ততম এ মহাসড়কে সৃষ্ট খানাখন্দ ও গর্তে ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। ইট-বালু গাড়ির চাকায় একাকার হয়ে ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গল ও বুধবার মহাসড়কের গৌরনদী ও টরকী বাসষ্ট্যান্ডে ইট-বালু দিয়ে সড়ক সংস্কারের চিত্র দেখা গেছে। এতে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারি বর্ষনের কারনে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ ও ছোট-বড় অনেক গর্ত দেখা দেয়। বৃষ্টির কারনে পিচ-পাথর ব্যবহার করতে না পারায় ইট-বালু দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করে সড়ক সচর রাখে সওজ। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর অংশে পিচ-পাথর দিয়ে মহাসড়কে সংস্কার কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বর্ষা মৌসুমে মহাসড়কের গৌরনদী ও টরকী বাসষ্ট্যান্ড সড়কে সবচেয়ে বেশি খানাখন্দ হয়েছে। অথচ গুরুত্বপূর্ন এই দুটি স্থানে পিচ-পাথর দিয়ে সড়ক সংস্কার না করে ইটের সুরকি আর বালু দিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। ইটের সুরকি আর বালু গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে গাড়ি চলাচলের সময় ধুলো ঝড়ে পরিণত হচ্ছে। ফলে মহাসড়কের আশপাশের দোকান ধুলায় ঢেকে যাচ্ছে। ছোট যানবাহনের চালক ও পথচারীদের মুখে মাক্স কিংবা রুমাল ব্যবহার করে অথবা হাত দিয়ে নাক চেপে ধরে চলাচল করতে হচ্ছে।
গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডের একাধিক ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্ষা শেষ হয়েছে অথচ এখনো ইটের সুরকি-বালু দিয়ে মহাসড়ক সংস্কার অব্যাহত রেখেছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এতে সাধারণ মানুষের আরো ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ বাসষ্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা আরও বলেন, ধুলার কারনে দোকানে বেশিক্ষন থাকা যায়না। এভাবে চলতে থাকলে দোকানে হয়তো পর্দা ব্যবহার করতে হবে অথবা দোকানপাট বন্ধ করে রাখতে হবে। পিচ-পাথর দিয়ে জনগুরুত্বপূর্ন এ মহাসড়ক সংস্কারের দাবী জানান তারা।
এবিষয়ে বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিন খান জানিয়েছেন, প্লান রিপেয়ার হচ্ছে। যাদের কাছ থেকে মালামাল সাপ্লাই আনা হয়েছে তারা এই মুহুর্তে মালামাল দিতে পারতেছেনা। তাছাড়া পূজার এই চারদিনে সড়কে গাড়ির চাপ থাকবে। এজন্য ইট দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করা হচ্ছে। সড়ক সংস্কারে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি বলতে পারবোনা। এটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন।