রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার রূপসা উপজেলায় ৩১ দফা জাতীয় রূপরেখা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে বিএনপির ব্যানারে এক সচেতনতামূলক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) শিয়ালী চাঁদপুর, চাঁদপুর মহিলা মাদ্রাসা ও বামনডাঙ্গা সালাফিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বৃক্ষরোপণ, আলোচনা সভা ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কর্মসূচির সার্বিক দিকনির্দেশনায় ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ শাহ কামাল তাজ।
এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা জাতীয় রূপরেখা তৃণমূল জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া, স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি করা এবং সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মোল্লা দুরুল হুদা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক তেরখাদা থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ কামরান হাসান এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. আজিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির নেতা মোল্লা দুরুল হুদা, শরিফুল ইসলাম মেম্বার, মোল্যা রফিকুল ইসলাম শেখ, সাবেক সভাপতি মো. লাবু ইসলাম, মো. রাজিব শেখ, গোলাম রসুল শিকদার এবং শেখ সোহেল রানা।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মো. মাসুম বিল্লাহ, মো. ইউসুফ হাওলাদার, আবুল বশার, রাজু চৌধুরি, মো. রবিউল ইসলাম, সাদ্দাম শেখ, মো. মোস্তাক, মো. দিদার আলী, মোল্যা শফিক হোসেন ও মো. আব্দুল্লাহ শেখ।
বক্তারা বলেন, ৩১ দফা রূপরেখায় নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা, মানবাধিকার রক্ষা, দুর্নীতির জবাবদিহিতা এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার মতো জাতীয় গুরুত্বের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব বিষয় সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছানো জরুরি।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঈদগাহ মাঠ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃক্ষরোপণ করা হয়। আয়োজকরা জানান, এ ধরনের পরিবেশবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনৈতিক সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ তৈরি হয়।
লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের হাতে ৩১ দফা রূপরেখার সারসংক্ষেপ তুলে দেওয়া হয়। আয়োজকরা মনে করেন, এটি শুধু একটি রাজনৈতিক প্রচারণা নয়, বরং জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক চর্চার একটি উদ্যোগ।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মাঝে সক্রিয়তা ও সংহতি বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।