মুসলিম ইবনে রবি, জাবিপ্রবি প্রতিনিধি
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অপূর্ব পাল কর্তৃক পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে কুরআন তেলায়াত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে কুরআন তেলায়াতের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানান এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
কর্মসূচিতে ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী মো. ইসমাঈল হোসেনের কুরআন তেলায়তের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জাবিপ্রবির শিক্ষার্থী মো. মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, “পবিত্র কুরআনের অবমাননা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। অনেকেই অপূর্ব পালের মানসিক সমস্যার অজুহাত তুলে বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখছেন। যদি সত্যিই তার মানসিক সমস্যা থাকে, তবে কেন সে কেবল মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ অবমাননা করল? প্রশাসন তার বিরুদ্ধে সামান্য জরিমানার মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
অন্যদিকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হুমায়ুন বলেন, “পবিত্র কুরআন মুসলমানদের ঈমান ও বিশ্বাসের প্রতীক; এর অবমাননা কোনোভাবেই সহ্যযোগ্য নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে কুরআন তেলায়াতের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছি, যাতে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক সম্প্রীতি অটুট থাকে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর (রবিবার) সকাল ৯টার দিকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের NAC-2 ভবনে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল ইচ্ছাকৃতভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ মাটিতে ফেলে, তাতে লাথি মেরে এবং এর পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলার পর ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করার পর উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অপূর্ব পালকে ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে নেয়।