যশোর প্রতিনিধি
যশোরের দিঘড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহনাজ পারভীন আকস্মিকভাবে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ক্লাস বর্জন করে এবং শ্রেণিকক্ষে তালা মেরে বাসায় ফিরে যায়। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সুপার শাহনাজ পারভীন দীর্ঘদিন ধরে সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। তবে সম্প্রতি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তিনি একটি জালিয়াতিপূর্ণ চিঠির মাধ্যমে নিজেকে পুনর্বহাল করেন এবং অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর মাধ্যমে পূর্বের বকেয়া বেতনও উত্তোলন করেন। এসব কার্যক্রম এলাকাবাসীর কাছে সম্পূর্ণ অপ্রকাশ্য ও বিতর্কিত বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুপার যখন বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন, তখন শিক্ষার্থীরা তার উপস্থিতির প্রতিবাদ জানিয়ে ক্লাস বর্জন করে এবং কক্ষগুলোতে তালা ঝুলিয়ে বাসায় চলে যায়।
মাদ্রাসার শিক্ষক শাহিনুর রহমান বাবু বলেন, “সুপারকে হঠাৎ মাদ্রাসায় দেখে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্লাস বর্জন করে।”
অপর শিক্ষক মাসুদুর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীরা সুপারের অবৈধ কার্যকলাপের প্রতিবাদেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য সুপার নিজেই দায়ী।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম বজলুর রশিদ বলেন, “সুপার মাদ্রাসায় গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে বর্জন করে শ্রেণিকক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি জানার পর আমি মাদ্রাসা পরিদর্শনে যাই।”
এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। স্থানীয় সচেতন মহল সুপারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।