উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল বাজার সংলগ্ন খালের ওপর নির্মিত পুরোনো সেতুটিতে মারাত্মক ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়ক বিভাগের প্রাথমিক সংস্কার ও জোড়াতালির মাধ্যমে সেতুটি সচল রাখা হলেও যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা ও যাত্রীরা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর নিচের অংশে একাধিক স্থানে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। বরিশাল সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ সেতুর নিচে বালুভর্তি বস্তা ও লোহার পাত বসিয়ে সাময়িকভাবে ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু এর পরও প্রতিদিন হাজারো বাস-ট্রাক এই সেতু দিয়ে চলাচল করায় বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় একশ বছর আগে নির্মিত সেতুটি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে এটি দিয়ে সর্বোচ্চ ৮ টনের বেশি মালামাল পরিবহন না করার কথা থাকলেও, দিনে-রাতে প্রায় ২৫-৩০ টন মালবাহী ভারী ট্রাক চলাচল করছে। ফলে সেতুটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে।
ট্রাকচালক ফরিদ হোসেন বলেন, “সেতুটির নিচের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। ভারী যানবাহন চলতে থাকলে একদিন সেটি পানিতে পড়ে যেতে পারে। দ্রুত বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”
উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য জিয়া আমিন বলেন, “সেতুটি এখন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। বলুর বস্তা দিয়ে কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে চলাচল চালু রাখা হয়েছে। সড়ক বিভাগ যদি দ্রুত বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বড় দুর্ঘটনা অনিবার্য।”
এদিকে ২১ অক্টোবর সেতুটি পরিদর্শন করেন উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী সুজা। তিনি বলেন, “প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। সেতুটি অনেক পুরনো এবং বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবো।”
বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম জানান, “সেতুটি বাস ও ট্রাক চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আপাতত সাময়িক সংস্কার করা হয়েছে। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”