সাইফুল ইসলাম (বাবুগঞ্জ) বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালের বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের একজন শিক্ষক কর্তৃক একই কলেজের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানসহ এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সম্মান (অনার্স) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উর্মি আক্তার (ছদ্মনাম) অভিযোগ করেছেন—ব্যবসা ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক বাদল বিশ্বাস বিভিন্ন সময় তাকে সরাসরি, মোবাইল ফোনে ও অনলাইনে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বৈবাহিক সূত্রে চট্টগ্রামে বসবাসরত ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষাসহ বিভিন্ন একাডেমিক কারণে কলেজে অবস্থান করতেন। এ সুযোগে ২০২৪ সালের অনার্স প্রথম বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।
এছাড়া বরিশাল শহরে একান্তে দেখা করার জন্য চাপ প্রয়োগসহ ক্লাসে ডেকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন শিক্ষার্থী। তিনি সামাজিক লোকলজ্জার কারণে বিষয়টি প্রথমে প্রকাশ করেননি।
সম্প্রতি প্রভাষক বাদল বিশ্বাস হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে বারবার অশোভন বার্তা পাঠিয়ে তাকে বিরক্ত করেছেন বলেও অভিযোগ করেন উর্মি আক্তার।
ঘটনার পর গত ৪ অক্টোবর কলেজের অধ্যক্ষ আ.ন.ম. আব্দুল হালিম ও গভর্নিং বডির সভাপতি মেহেরুন্নেসা শিরিন বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রভাষক মো. গোলাম হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. গোলাম হোসেন জানান, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনামের স্বার্থে সংবাদ প্রকাশে সংযমের আহ্বান জানাই।
কলেজের অধ্যক্ষ আ.ন.ম. আব্দুল হালিম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আংশিক অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আপিল করেছেন। তদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গভর্নিং বডির সভাপতি মেহেরুন্নেসা শিরিন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে কমিটি সত্যতা যাচাই করছে। প্রাথমিকভাবে কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত শিক্ষক বাদল বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

