জয়পুরহাট প্রতিনিধি
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সীমান্তবর্তী জেলা জয়পুরহাটে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আমেজ। জয়পুরহাট-১ (জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি) আসনটি পুনরুদ্ধারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপি। অন্যদিকে একক প্রচারে মাঠে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
বিএনপির পক্ষ থেকে এবার মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন চারজন হেভিওয়েট প্রার্থী—দলের প্রয়াত দুই সংসদ সদস্যের উত্তরসূরি ও দুই প্রবীণ নেতা। তারা হলেন—সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য প্রয়াত আবদুল আলীমের ছেলে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফয়সল আলীম; সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মোজাহার আলী প্রধানের ছেলে মো. মাসুদ রানা প্রধান; জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর মণ্ডল।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী থেকে একক প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণায় রয়েছেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মো. ফজলুর রহমান সাঈদ।
প্রধান দুই দলের বাইরে নির্বাচনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের জেলা সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম মাসুদ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল ওয়াদুদ। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকেও প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা এসেছে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী ফয়সল আলীম বলেন, “রাজনীতি করি সততা ও আদর্শ নিয়ে। দুর্নীতিমুক্ত জীবনের কারণে আমি বিশ্বাস করি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।”
মো. মাসুদ রানা প্রধান বলেন, “জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আছি। জেল-জুলুম-নির্যাতনের মধ্যেও নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছি। দলমত নির্বিশেষে মানুষের ভালোবাসা আমার প্রতি প্রবল।”
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন জানান, “আমি নির্যাতিত ও মামলাভুক্ত নেতা। আটটি মামলা এখনো চলমান। নির্যাতিত নেতার মর্যাদা বিবেচনা করে আমি মনোনয়নের প্রত্যাশী।”
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুল গফুর মণ্ডল বলেন, “আমার বিরুদ্ধে বহু মামলা, এমনকি আমাকে গুম করা হয়েছিল। তবুও আমি সংগঠন ছাড়িনি। এ কারণেই আমি শতভাগ আশাবাদী।”
জামায়াতের প্রার্থী ফজলুর রহমান সাঈদ বলেন, “দল থেকে আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছি এবং জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জয়পুরহাট-১ আসনটি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। তাই ২০২৬ সালের নির্বাচনে এ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

