দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ বছরের ইতিহাসে এক অনন্য মাইল ফলক অর্জন করেছে মানিক রহমান নামে এক শিক্ষার্থী। মাত্র ৭দিনে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার সাইকেলিং সম্পন্ন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী মানিক রহমান।
গত ২০ অক্টোবর সকালে টেকনাফ থেকে যাত্রা শুরু করে গতকাল রোববার ২৬ অক্টোবর বিকালে তেঁতুলিয়া পৌছান তিনি। মানিক রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সাইকেলিং এর মাধ্যমে তিনি তিস্তার মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
মানিক রহমান এর আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নীলফামারী ৩৩০ কিলোমিটার, ইবি থেকে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ৪১৮ কিলোমিটার সাইকেলিং করেন। সাইকেলিং ছাড়াও তিনি ১৬ ডিসেম্বর ১৬ কিলোমিটার ম্যারাথন, ২১ ফেব্রæয়ারী ২১ কিলোমিটার ম্যারাথন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ কিলোমিটার মিনি ম্যারাথনে ৭ম স্থান, অগ্নিসংযোগ সচেতনতায় ৫ কিলোমিটার মিনি ম্যারাথনে ১ম স্থান, ২৬ মার্চ ২৬ কিলোমিটার নাইট ম্যারাথনে ২য় স্থান, আবরার ফাহাদ স্মৃতি ৭.৫ কিলোমিটার মিনি ম্যারাথনে ৪র্থ স্থান এবং ২ কিলোমিটার ফান রানে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
মানিক রহমানের তেতুলিয়া-টেকনাফ সাইক্লিং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কে. এম. শরফুদ্দিন ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান টুটুলসহ শিক্ষার্থীরা তাকে সহযোগীতা করেন।
সাইকেলিং সম্পর্কে মানিক রহমান বলেন, যখন আমি একাধিক কোম্পানিতে স্পন্সরশিপের জন্য আবেদন করে ব্যবস্থা করতে পারিনি, তখন খুবই চিন্তিত ছিলাম। একপর্যায়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার মোবাইল ফোন বিক্রি করে আমার স্বপ্ন পূরণ করবো। পরবর্তীতে আমার শিক্ষক ও সিনিয়র ভাইদের সহায়তায় যাত্রা শুরু করতে পারি। মাত্র ৭ দিনে আমার তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ সাইকেলিং সম্পূর্ণ করি। আমি ৭ দিনে সর্বনিম্ন ১৩৩ ও সর্বোচ্চ ১৭৩ কিলোমিটার সাইকেলিং করেছি।
তিনি আরো বলেন, সাইকেলিং এর সময়ে রাতের বেলায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি। আমার সাথে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ছিলো না। আমি হল কার্ডের জন্য আবেদন করে ১৫ দিন পার হওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কার্ড ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি। এজন্য আমি চিন্তিতও ছিলাম। আজ সোমবার বিকেলে সে ইবি ক্যাম্পাসে পৌঁছায়।

