কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
সূর্য উদয় সূর্যাস্ত বেলাভূমি পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ) উপলক্ষে চলছে সাজ সজ্জার কাজ।ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা উপলক্ষে প্রতিবছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। এ উৎসব এখন কুয়াকাটার সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আয়োজন হিসেবে পরিচিত। কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে সনাতন ধর্মালম্বীরা রাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
কারিগরদের রং তুলির নিপুন ছোয়ায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ১৮ জোড়া যুগল প্রতিমা।সবকিছু সাজনো হচ্ছে নতুন সাজে।পঞ্জিকা মতে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ) রাত ১০ টা ৩৮ মিনিট থেকে শুরু হবে পূর্ণিমা থাকবে বুধবার (৫ নভেম্বর ) সন্ধ্যা ৬ টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত। তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পূর্ণিমার এ তিথিতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচন ও পূণ্য লাভের আশায় পূর্ণিমাতিথীতে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ কুয়াকাটায় সমুদ্রে পূণ্যস্নান করবেন।
কুয়াকাটা রাসপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মন্ডল জানিয়েছেন, এ বছরও পূর্ণিমা তিথিতে হাজারো তীর্থ যাত্রীদের পদভারে মুখরিত হবে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ) সন্ধ্যায় পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর রাতভর চলবে নাম কীর্তন, ভাগবৎ পাঠ ও আরতি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর ) সূর্য উদয়ের আগেই রাস পূর্ণিমা লগ্ন অনুযায়ী সাগর সৈকতে পাপ মোচনের লাভের আশায় নামবে ভক্তদের ঢল। একই দিন সৈকতে অনেকেই আবার ভিন্ন ভিন্ন মানত করা পূজা দিবেন পুরোহিত এনে। নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষও মিলিত হবে রাস পূজা, সমুদ্র স্নানানুষ্ঠানে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন,, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে আগত পর্যটক ও পন্যার্থিদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছি। সর্বক্ষণিক টুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কাজ করবেন।
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক মো ইয়াসিন সাদেক বলেন, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস উৎসবের দর্শনার্থী ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা প্রস্তুত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, কাউছার হামিদ বলেন,“রাস উৎসব কুয়াকাটার ঐতিহ্যের অংশ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে আমরা ধারণা করছি হাজার হাজার লোকের সমাগম হবে। কুয়াকাটায় পূণ্যস্নানে আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক থানা পুলিশ,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী,টুরিস্ট পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য কাজ করবেন।

                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    