ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার চরে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত লিটনের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার নতুনহাট এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে নিহত লিটনের পরিবার ছাড়াও কয়েকশো স্থানীয় নারী-পুরুষ অংশ নেন। পরে নিহতের স্বজনরা মানববন্ধনের ব্যানারে থাকা লিটনের ছবিতে হাত বুলিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন।
নিহত লিটনের পিতা জামিরুল প্রামানিক বলেন, “নদীর চরে আমার নিজের জমিতে খড় তুলতে গিয়ে আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মাদককারবারী বিল্লাল মন্ডল, মুন্তাজ মন্ডল, জাকারিয়া পিন্টুসহ আরও অনেকে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
লিটনের মা আলেয়া খাতুন জানান, “আমার ছেলে আগে কসমেটিকস ব্যবসা করতো। বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। সব টাকা জমিয়ে রেখেছিল। কিন্তু বিল্লাল, মুন্তাজ ও পিন্টু আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি বিচার চাই।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মুনতাজ ও বিল্লাল বাহিনীর ভয়ে তারা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। চরের জমিতে ঠিকমতো চাষাবাদ করতে পারছেন না, ফসল ঘরে তুলতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ বারবার অভিযোগের পরও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তারা জানান। অবিলম্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর ভেড়ামারা উপজেলার রায়টা নতুনহাট এলাকার বাসিন্দা লিটন পদ্মাচরে নিজের জমিতে খড় কাটতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন ২৮ অক্টোবর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আলী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু, তার ভাই মেহেদী, মুনতাজ ও বিল্লালসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০–১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

