Nabadhara
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুলনা–২ আসনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জু

রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি
নভেম্বর ৬, ২০২৫ ১০:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি

অব্যাহতি পেয়েছিলেন, কিন্তু দল ছাড়েননি। পদ হারিয়েছিলেন, কিন্তু রাজনীতি হারাননি। চার বছর পদহীন থেকেও হাজারো নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে ছিলেন তিনি। অবশেষে সেই ত্যাগ ও আনুগত্যের স্বীকৃতি মিলল খুলনা–২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের মধ্য দিয়ে। তিনি হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় তার প্রার্থিতা। খুলনা–২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামছেন তিনি।

২০২১ সালে কেন্দ্র ঘোষিত মহানগর কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন মঞ্জু। দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতার কারণে তাকে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু সেদিন থেকেই শুরু হয় তার অন্য রকম এক পথচলা—দলীয় পদ ছাড়াই বিএনপির হয়ে আন্দোলন–সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন তিনি। তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তখন খুলনা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫৬১ জন নেতা–কর্মী পদত্যাগ করেছিলেন।

রাজনীতিতে দীর্ঘ চার দশকের অভিজ্ঞ এই নেতা ছাত্রদল থেকে উঠে আসা বিএনপির একজন ত্যাগী সৈনিক। ১৯৭৯ সালে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে পথচলা শুরু করেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। পরে ১৯৮৭ সালে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৯৯২ সালে সাধারণ সম্পাদক ও ২০০৯ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। একটানা এক যুগ খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।

দলীয় নেতারা বলছেন, তার মতো স্থিতধী ও নিবেদিত নেতা বিএনপির ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।

সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “মঞ্জু ভাই শুধু নেতা নন, তিনি অনুপ্রেরণার নাম। আওয়ামী লীগের আমলে মিথ্যা মামলা, নির্যাতন—সবকিছু সহ্য করেছেন কিন্তু দল ছাড়েননি। আজ তার মনোনয়ন প্রমাণ করে ত্যাগ কখনো বৃথা যায় না।”

বিএনপি কর্মী আনোয়ার হোসেন বলেন, “চার বছর ধরে মঞ্জু ভাই আমাদের সঙ্গে ছিলেন, মাঠে ছিলেন। তিনি পদ–পদবি ছাড়াই যে ভালোবাসা ধরে রেখেছেন, সেটাই তার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারেক রহমান সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

খুলনা সদর এলাকার সাধারণ ভোটার এম এ মান্নান বলেন, “খুলনার মানুষ এখন মাঠের নেতাকে চায়। মঞ্জু ভাই এমন একজন, যিনি সবসময় মানুষের পাশে ছিলেন। তার প্রার্থিতা শুনে সবাই আশাবাদী।”

প্রথমবার ভোট দিতে যাচ্ছেন সাদিয়া আফরিন, একজন তরুণ ভোটার। তিনি বলেন, “আমরা উন্নয়ন চাই, অভিজ্ঞ নেতৃত্ব চাই। মঞ্জু ভাইয়ের নাম শুনে মনে হচ্ছে তিনি খুলনার উন্নয়নে কাজ করতে পারবেন।”

মনোনয়ন পাওয়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন,“খুলনা–২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের অভিভাবক। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে সামনে এগিয়ে নিতে চাই।”

খুলনা–২ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৩২ হাজার ২০৯ জন। এর মধ্যে সদরে এক লাখ ৮৯ হাজার ২০৫ ও সোনাডাঙ্গায় এক লাখ ৪৩ হাজার ৪ জন। নারী ভোটারের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। এবারে নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ১৮ হাজারের বেশি।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। সেই থেকেই খুলনা–২ বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই ঘাঁটির নেতৃত্ব দিতে আবারও মাঠে নামছেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু—ধানের শীষ হাতে, দীর্ঘদিনের বিশ্বাস ও ত্যাগকে সঙ্গী করে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।