রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে খুলনা–৪ (তেরখাদা–রূপসা–দিঘলিয়া) আসনে বইছে প্রচারণার জোয়ার। মনোনয়ন ঘোষণার পরদিন থেকেই বিএনপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল নেমে পড়েছেন মাঠে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তার নিরবচ্ছিন্ন গণসংযোগ, পথসভা আর ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়।
গ্রামেগঞ্জে এখন একটাই চিত্র—দেয়ালে দেয়ালে ‘ধানের শীষ’, মোড়ে মোড়ে ব্যানার–পোস্টার, হাতে হাতে লিফলেট। রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনী উন্মাদনা। বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন, জানাচ্ছেন দলের বার্তা ও প্রতিশ্রুতি।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের মূল লক্ষ্য। বিএনপি সব সময় মানুষের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। জনগণের ভালোবাসা আর দোয়াই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তার নেতৃত্বে এখন মাঠে নেমেছেন তৃণমূল কর্মীরা। সন্ধ্যা নামলেই ইউনিয়নজুড়ে শুরু হয় লিফলেট বিতরণ, মাইকিং আর উঠান বৈঠক। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান রুনু বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্ম নতুন করে আশার আলো দেখছে। আজিজুল বারী হেলাল তৃণমূলের মানুষ, কর্মীদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তিনি কাজ করছেন।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, খুলনা–৪ আসনের ভোটযুদ্ধ এবার হতে যাচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। একদিকে দলের প্রভাবশালী প্রার্থী, অন্যদিকে হেলালের দীর্ঘদিনের জনপ্রিয়তা—দুইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।
ভোটারদের প্রত্যাশা, যিনি জয়ী হবেন, তিনি যেন এলাকার প্রকৃত উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও শিক্ষা–স্বাস্থ্যসেবায় বাস্তব পরিবর্তন আনেন। তরুণ ভোটারদের অনেকে বলছেন, “এবার আমরা ভোট দেব পরিবর্তনের জন্য, এমন নেতাকে যিনি মানুষের পাশে থাকবেন।”
সব মিলিয়ে খুলনা–৪ আসনে এখন উত্তপ্ত নির্বাচনী পরিবেশ। প্রচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে বিএনপি, মাঠে সক্রিয় কর্মীরা। জনতার কণ্ঠে বারবার ভেসে আসছে একটাই স্লোগান—‘ধানের শীষে ভোট দিন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন।’

