খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা-৪ (তেরখাদা- রুপসা-দিঘলিয়া) আসনে ৫০ হাজার বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে সবুজ বিপ্লবের সূচনা করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল। শনিবার (১০ নভেম্বর) সকালে খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নে নিজের বাসভবনে “গাছ লাগাই, পরিবেশ বাঁচাই”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এক অনন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
সবুজের ছোঁয়ায় ভরে উঠেছিল চারপাশ। দলীয় নেতাকর্মী, তরুণ সমাজ ও স্থানীয় কৃষকরা হাতে হাতে চারা নিয়ে অংশ নেন এই অনুপ্রেরণামূলক উদ্যোগে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান রুনু, জেলা বিএনপির সদস্য শেখ আ. রশীদ, আনসার আলী বিশ্বাস, নাজমুস সাকিব পিন্টু, এম এ সালাম, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা তুহিন, বিএনপি নেতা কাজী জাকির হোসেন, শেখ আবু সাঈদ, ফরিদ আহম্মেদ, সৈয়দ নিয়ামত আলী, মাঈনুল হাসান ও কামরুজ্জামান নান্টু প্রমুখ।
বৃক্ষরোপণ শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আজিজুল বারী হেলাল বলেন, “গাছ লাগানো মানে শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়—এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ, নিরাপদ ও টেকসই জীবনের অঙ্গীকার। আমরা খুলনা-৪ আসনে ৫০ হাজার বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে এমন একটি আন্দোলন শুরু করেছি, যা প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে সেতুবন্ধন গড়ে তুলবে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি বাড়ি, একটি গাছ—এটি কেবল একটি স্লোগান নয়, বরং আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি। আমরা চাই প্রতিটি পরিবার যেন সবুজে ঘেরা হয়, প্রতিটি উঠোনে যেন নতুন জীবনের শিকড় গজায়।”
আজিজুল বারী হেলাল জানান, ধানের শীষ প্রতীক মানেই গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার। বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে থেকেছে—কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, কিংবা পরিবেশ—সব ক্ষেত্রেই দলটি কাজ করেছে নীরবে। “আমরা চাই একটি সুন্দর, সবুজ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ ও প্রকৃতি একসঙ্গে বাঁচবে,”—বললেন তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত অতিথিরা বলেন, এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি একটি মানবিক আন্দোলন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের মতো দেশে এমন উদ্যোগ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
স্থানীয় কৃষক ও তরুণদের মুখেও ছিল উৎসাহের ছাপ। একজন স্থানীয় যুবক বলেন, “রাজনীতির মাঠে এমন সবুজ কর্মসূচি মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে। গাছ লাগানো এখন শুধু দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যতের বিনিয়োগ।”
বৃক্ষরোপণ শেষে হেলাল সাংবাদিকদের বলেন, “এই কর্মসূচি ভোটের আগে একটি প্রতিশ্রুতি নয়, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে আমরা স্থানীয় জনগণকে পরিবেশ সচেতনতা, সামাজিক দায়িত্ব ও উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত করতে চাই।”
সবুজে ঘেরা এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজিজুল বারী হেলালের প্রচারণায় এক নতুন দিকের সূচনা হলো—যেখানে রাজনীতি মিশেছে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও মানুষের ভবিষ্যৎ নির্মাণের অঙ্গীকারে।

