বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের বাকেরগঞ্জে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুতে থানায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণকাঠী গ্রামের মোশাররফ ফকিরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম লামিয়া আক্তার নদী (২১)। তিনি কৃষ্ণকাঠী গ্রামের মোশাররফ ফকিরের পুত্র অন্ত ফকিরের স্ত্রী। খবর পেয়ে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ রাত ১২ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর শ্বাশুড়ি শিল্পী বেগম জানান, সোমবার পুত্রবধূকে ডাকতে গিয়ে তার টিনসেড বিল্ডিং ঘরের দক্ষিণ পাশের রুমে জানালা দিয়ে তাকিয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলতে অবস্থায় দেখতে পান। ওইসময় তিনি দরজা ভেঙ্গে নদীকে ঝুলন্ত থেকে নামিয়ে ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এসে রাত রাত ১১ টার দিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সোমবার সকালেও নদী জামাই অন্তু ফকিরকে নিয়ে জন্মদিনের কেট কাটে। অথচ ওই রাতেই স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ সবাই মিলে তাকে হত্যা করেছে। তার মেয়ের শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে বলেও তিনি জানান। মেয়েকে হত্যা করে জামাই অন্তু ফকির পালিয়ে গেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, ‘সোমবার রাত ১১ টার পর লামিয়া আক্তার নদী নামে এক গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় তার শাশুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে তিনি পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মরদেহের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের নানা শামসুল হক বাদী হয়ে নামধারী ৩ থেকে ৪ জনকে ও অঞ্জাত ২থেকে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন , আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।

