আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আশাশুনিতে নারী ও কিশোরী স্বেচ্ছাসেবক দলগুলোর মাঝে পূর্ব সতর্কতা, অনুসন্ধান ও উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় উপকূলীয় নারীদের অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি–ইউএনডিপির কারিগরি সহায়তায় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে পরিচালিত জেন্ডার রেস্পন্সিভ কোস্টাল এডাপটেশন (জিসিএ) প্রকল্পের আওতায় এ উপকরণ বিতরণ করা হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করছে এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ।
বিতরণকৃত সামগ্রীর মধ্যে ছিল পূর্ব সতর্কতা কিট, অনুসন্ধান ও উদ্ধার সরঞ্জাম এবং প্রাথমিক চিকিৎসা উপকরণ। এসব উপকরণ স্বেচ্ছাসেবকদের দুর্যোগের সময় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ, তথ্য প্রচার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা এবং স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
উপকূলীয় খুলনা ও সাতক্ষীরার পাঁচটি উপজেলা—কয়রা, পাইকগাছা, আশাশুনি, দাকোপ ও শ্যামনগরে পর্যায়ক্রমে এসব উপকরণ প্রদান করা হবে। মোট ৩৯টি ইউনিয়নের ১০১টি ওয়ার্ডের ১০১টি প্রশিক্ষিত নারী স্বেচ্ছাসেবক দল এ উপকরণ পাবে। সিপিপির সঙ্গে অংশীদারিত্বে স্বেচ্ছাসেবকদের পূর্ব সতর্কতা, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মসূচিও পরিচালিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সিপিপির উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন স্বেচ্ছাসেবকদের উপকরণ পরিচিতি, ব্যবহারের নিয়ম ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ওরিয়েন্টেশন প্রদান করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সাল আহমেদ।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএনডিপির জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হান্নান। শেষে অতিথিবৃন্দ স্বেচ্ছাসেবক দলের হাতে উপকরণের ট্রাংকের চাবি হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, জিসিএ প্রকল্পটি উপকূলীয় এলাকার প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার নারী ও পরিবারের জীবনমান উন্নয়ন, জলবায়ু–সহনশীল জীবিকা সৃষ্টি এবং নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

