মোছা: কাবা কাকলি, কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি
ভূমিকম্পে কবি নজরুল সরকারি কলেজের একমাত্র শহীদ শামসুল আলম ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষে ফাটল দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু স্থানে পলেস্তরা খসে পড়েছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের মাঝে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে দিকে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্প অনুভূত হলে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে ছাত্রাবাসের বাহিরে অবস্থান নেন।
এসময় ছাত্রাবাসের সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন এক শিক্ষার্থী । তিনি হাতে পায়ে ব্যথা পেয়েছেন। এছাড়াও একাধিক কক্ষে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং পলেস্তরা খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্রাবাসের আহত শিক্ষার্থী জয় জানান, আমি ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ দেখি আমার বেড খুব জোরে ঝাঁকি দিচ্ছে । আমার রুমমেটরাও জোরে ভূমিকম্প ভূমিকম্প বলে চিৎকার করছে। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে দৌড় দিয়ে নিচে নামতে গিয়ে সিঁড়িতে পা পিছলে পড়ে যায়। আমার পায়ের অবস্থা এখন খুব খারাপ ।
তিনি আরও বলেন, এই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ তবু আমরা অনেক কষ্ট করে থাকি। এই ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং সংস্কার করতে হবে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জাহাঙ্গীর হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সকালে গোসল করে রুমে ঢুকতেই দেখি রুম দোল দিচ্ছে, খটখট শব্দ হচ্ছে, পলেস্তরা ঝিরঝির করে পড়ছে। রুমমেট সবাইকে ভূমিকম্প ভূমিকম্প বলে ডাক দিয়ে জুতা মানিব্যাগ সবকিছু ছাড়াই বারান্দা দিয়ে দৌড় দিয়েছি । এতটা ভয়াবহতা আমি কখনো দেখি নাই , খুবই আতঙ্কে ছিলাম। বারান্দা দিয়ে দৌড় দিচ্ছি তখন মনে হচ্ছিল আজই বুঝি এই ভবনের নিচে চাপা পড়বো।
তিনি আরও বলেন, সিঁড়ি দিয়ে নামবো সে অবস্থাও ছিল না। ছাত্রাবাসের সকল শিক্ষার্থীরা সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করছিল তখন। সিঁড়িতেও তখন খুব হুলুস্থুল পরিবেশ ছিল সবাই প্রাণপণ বাঁচার চেষ্টা করছিল। নিচে থেকে ৩০ মিনিট পর রুমে গিয়ে দেখি দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে।
আবু হাসান মুন্না নামের অন্য এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা রুমে শুয়ে ছিলাম, হঠাৎ কাঁপুনি দিয়ে উঠে ভবনটি। ধীরে ধীরে কাঁপুনির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে । তখন আমরা সবাই দৌড়ে বাইরে অবস্থান নেয় । তখন একটি বিকট শব্দ হল পরে রুমে এসে দেখি দেয়ালের একটি অংশ ফেটে গেছে।

