শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মাদ্রাসা পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি বসতবাড়ি ও একটি ফার্নিচারের দোকান সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাড়ীদহ দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরি রফিকুল ইসলামের বসতবাড়ি এবং তাঁর ভাড়া দেওয়া একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে বসতঘরের পাঁচটি কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘরের সকল আসবাবপত্র ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও বগুড়া সদর থেকে আসা আরও একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে ততক্ষণে বসতবাড়ি ও দোকানের উল্লেখযোগ্য অংশ সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত রফিকুল ইসলাম জানান, আগুনের সূত্রপাত তার ভাড়া দেওয়া ফার্নিচারের দোকান থেকেই হয়েছে। দ্রুত আগুন তার বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। দোকানটির মালিক বাবু মিয়া।
শেরপুর ফায়ার স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সোমবার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন।
শেরপুরে দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত, ভাইরাল শেষ স্ট্যাটাস
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শেরপুরে গ্রামীণ সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, গাড়িদহ ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের মেহেদী হাসান (২০) ও শেরপুর পৌর শহরের গোসাইপাড়া মহল্লার শাহাবুল হাসান (২০)। আহত হয়েছেন একই এলাকার উৎসব চক্রবর্তী (২০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিন বন্ধু একটি মোটরসাইকেলে করে রামেশ্বরপুর গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মোটরসাইকেলচালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সড়কের পাশে একটি দোকানের শাটারে ধাক্কা লাগে। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় শাহাবুল হাসান ও মেহেদী হাসান মারাত্মক জখম হন এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহত উৎসব চক্রবর্তী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন শাহাবুল।
আহত উৎসব চক্রবর্তী জানান, বন্ধুকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। তারা তিনজনই সম্প্রতি এইচএসসি পাস করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে শাহাবুল হাসান তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি নোট স্ট্যাটাস দেন,“সাদা কাপড়, মাটির ঘর, বাসের ছাড়নি।” দুর্ঘটনার পর সেই স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এটিকে যেন এক অদ্ভুত পূর্বাভাস হিসেবে দেখছেন। নিকটজনদের কেউ কেউ বলছেন, হয়তো এটি ছিল শাহাবুলের স্বাভাবিক রসিকতার ভঙ্গি, যা এখন তাদের জন্য আরও বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) লাল মিয়া।

