উত্তম শর্মা, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বাংলাদেশে রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা ২য় পর্যায় ১ম সংশোধিত” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রেশম চাষী কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বীরগঞ্জ উপজেলার লাটেরহাট এলাকায় অবস্থিত রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্রে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রংপুরের আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: মাহবুব-উল-হক এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বোর্ডের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক ড. এম. এ মান্নান,
বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: লুৎফর রহমান তালুকদার, প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: আতিকুর রহমান, ১০নং মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহীন। মাটিয়াকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
মো: মিজানুর রহমান সহ আরো অনেকে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের রেশম শিল্প দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি সম্ভাবনাময় খাত। সরকার রেশম শিল্পকে আধুনিক ও টেকসই করতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। রেশম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, রেশম চাষীদের প্রশিক্ষণ, মানসম্মত ডিম সরবরাহ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড নিরলসভাবে কাজ করছে। চাষীরা আধুনিক পদ্ধতিতে রেশম চাষ করলে উৎপাদন বাড়বে এবং নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বোর্ডের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক ড. এম. এ মান্নান বলেন, রেশম চাষ একটি লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব কৃষি কার্যক্রম। পরিকল্পিতভাবে রেশম শিল্পের উন্নয়ন হলে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান তালুকদার বলেন,
রেশম শিল্প উন্নয়নে সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের মাধ্যমে চাষীদের প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন,
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রেশম চাষীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, উৎপাদন ব্যয় কমানো এবং উৎপাদিত রেশমের গুণগত মান উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, রেশম চাষ সম্প্রসারণে মাঠপর্যায়ে নিয়মিত মনিটরিং ও কারিগরি সহায়তা অব্যাহত থাকবে, যাতে চাষীরা সর্বোচ্চ সুবিধা পায়।

