স্টাফ রিপোর্টার, নড়াইল
নড়াইলে হোসেন আলী নামক এক প্রতারকের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে একাধিক পরিবার। অভিযুক্ত হোসেন আলীর বাড়ি মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সরুশুনা গ্রামের সাহাদত শিকদারের ছেলে।
লিখিত অভিযোগ ও একাধিক ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, হোসেন আলী দীর্ঘদিন যাবত ধরে তার নিজ ইউনিয়ন শালিখায় নানা অনিয়ম,দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এছাড়া ও সে বিভিন্ন ক্লিনিকে অবৈধ ভাবে দেহ ব্যবসায়ের জন্য নারী সাপ্লাই করতেন বলে তার বিরুদ্বে অভিযোগ রয়েছে।
শালিখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী হোসেন সিকদার বলেন, হোসেন আলী একজন প্রতারক, সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নারী পাচার থেকে শুরু করে নানাবিধ অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয় ভাবে একাধিকবার সালিশ করেছি তার বিরুদ্ধে।
পরবর্তীতে জানতে পারি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর সে পার্শ্ববর্তী নড়াইল জেলায় গিয়ে গড়ে তুলেছে প্রতারণার ফাঁদ। একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, হোসেন আলী অসহায় মানুষদের বেছে বেছে তাদের নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে সরকারি টিউবওয়েল,
সাবমার্সিবল নলকূপ, সরকারি ঘর এবং সোলার দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন মোল্যার ছেলে অসহায় চা দোকানী আব্দুল গফুর মোল্যা কে সাব-মার্সিবল নলকূপ দেওয়ার কথা বলে বিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক হোসেন আলী। একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে সোলারসহ বিভিন্ন সরকারি উপকরণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে দশ হাজার টাকা নিয়েছে।
মাইজপাড়া বাজারের চাউল ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন কে সাব-মার্সিবল নলকূপ দেওয়ার কথা বলে দশ হাজার টাকা। কাঠালবাড়িয়া গ্রামের প্রবাসী রাজিবুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা খাতুনের নিকট থেকে বিশ হাজার টাকা নিয়ে ভুয়া প্রকৌশলী সাজিয়ে এক ব্যক্তিকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মিথ্যা মাপজোঁকের নাটক সাজায় অভিযুক্ত হোসেন আলী।
অভিযুক্ত হোসেন আলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্বে কিছু লোক মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমি কারোও কাজ থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি।

