হুমায়ন কবির মিরাজ, বেনাপোল
দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে বৈধ আমদানির আড়ালে ঘোষণাবহির্ভূত ও নো-এন্ট্রি পণ্য চোরাচালান থেমে নেই। এতে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানার কাঁচামালসহ নানা ধরনের পণ্য আমদানি হয়। তবে কিছু অসাধু আমদানিকারক এবং তাদের নিয়োগকৃত সিএন্ডএফ এজেন্ট বৈধ পণ্যের আড়ালে বিপুল পরিমাণ ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য ও কখনো কখনো পুরো নো-এন্ট্রি ট্রাক দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করাচ্ছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে একটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে শাড়ি, থ্রি-পিস, কসমেটিকসসহ নো-এন্ট্রি পণ্য ছিল। এ ধরনের ঘটনা শুধু নতুন নয়, এর আগেও বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় আড়াই কোটি টাকার পণ্য বের হওয়ার সময় বিজিবি তা আটক করেছে। বিভিন্ন সময়ে ফেনসিডিল, মদ ও অন্যান্য ঘোষণাবহির্ভূত পণ্য উদ্ধারও হয়েছে।
তবে অভিযোগ রয়েছে, শুধুমাত্র কয়েকটি ট্রাক আটক হলেও বড় অংশ সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে চলে যাচ্ছে। বন্দর এলাকার শেডে আমদানিকৃত পণ্যের সঙ্গে ক্যাপসিগাম, শাড়ি ও থ্রি-পিস পাওয়া গেছে। এছাড়া ওজনে কারচুপি এবং জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে পণ্য খালাসের অভিযোগও উঠেছে।
বিশেষ সূত্রের মতে, কাস্টমস ও বন্দর সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব পণ্য দ্রুত খালাস করা হচ্ছে। সম্প্রতি ৪২ নম্বর শেড থেকে গার্মেন্টস পণ্যের আড়ালে কোটি টাকার ব্লেড উদ্ধার হওয়ার ঘটনাও এ অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার খালেদ আবু মোহাম্মাদের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, দ্রুত কার্যকর নজরদারি, স্বচ্ছ তদন্ত ও জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে বেনাপোল বন্দরে বৈধ বাণিজ্যের আড়ালে চোরাচালান বন্ধ করা কঠিন হয়ে যাবে এবং সরকারের রাজস্ব ক্ষতির মাত্রা বাড়তে থাকবে।

