নবধারা ডেস্ক
শীতকালে সহজলভ্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজির মধ্যে গাজর অন্যতম। এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, শীতের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত গাজর রাখা উচিত।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। এটি রাতকানা প্রতিরোধ করে এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে, বিশেষ করে শিশু ও কিশোরদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ গাজর সর্দি-কাশি ও মৌসুমি রোগের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে, শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা কমাতে গাজর কার্যকর। এতে থাকা ভিটামিন এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।
হজমশক্তি ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, গাজরে প্রচুর ফাইবার থাকায় হজমশক্তি উন্নত হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য কমে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণেও এটি সহায়তা করে।
হৃদযন্ত্র ও ক্যান্সার ঝুঁকি কমায়, নিয়মিত গাজর খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যালস কিছু ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
শরীর ডিটক্সিফাই করে, গাজর লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে, ফলে শরীর থাকে হালকা ও সতেজ।
খাওয়ার সময় সতর্কতা জরুরি, যদিও গাজরের উপকারিতা অনেক, তবে অতিরিক্ত খেলে কিছু সমস্যা হতে পারে। রাতে কাঁচা গাজর খেলে গ্যাস বা অম্বল হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খেলে ত্বকে সাময়িকভাবে কমলা আভা দেখা দিতে পারে, যা ক্ষতিকর।
গাজর দিয়ে স্বাস্থ্যকর রেসিপি, শীতে গাজর দিয়ে তৈরি করা যায় নানা মুখরোচক খাবার গাজরের হালুয়া, স্যুপ, সালাদ বা জুস। এগুলো স্বাদে যেমন ভালো, তেমনি পুষ্টিতেও ভরপুর।
সব মিলিয়ে গাজর শীতের একটি আদর্শ সুপারফুড। সঠিক পরিমাণে নিয়মিত গাজর খেলে শরীর থাকবে সুস্থ, সতেজ ও রোগমুক্ত।

