Nabadhara
ঢাকাশুক্রবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে খুলনায় বিএনপি-জামায়াতের মাঠযুদ্ধ

রাসেল আহমেদ, খুলনা প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫ ৮:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাসেল আহমেদ, খুলনা প্রতিনিধি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ জেলা খুলনায় রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে। তফসিল ঘোষণার আগেই জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে কার্যত মাঠ দখলের লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা থাকলেও শক্তির বিচারে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই দুই দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
বছরের শুরুতেই ছয়টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে মাঠে নামে জামায়াত। নিয়মিত গণসংযোগ, সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে দলটি।

অপরদিকে বিএনপির প্রতিটি আসনেই একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর সক্রিয় প্রচারণা নির্বাচনী মাঠকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। ৩ নভেম্বর পাঁচটি আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হলেও দলীয় অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। প্রকাশ্যে বড় কোনো সংঘাত না হলেও ভেতরে ভেতরে অস্বস্তি যে রয়ে গেছে, তা স্পষ্ট।

তবে জামায়াতও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত নয়। আটটি ইসলামপন্থি দল নিয়ে নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় আসন ভাগাভাগি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই খুলনা-১ আসনে সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে ভিন্ন বার্তা দিয়েছে দলটি।

খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) সনাতন ধর্মাবলম্বীর প্রাধান্য থাকা (প্রায় ৪২ শতাংশ) এই আসনে শুরুতে জামায়াত মনোনয়ন দেয় বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা আবু ইউসুফকে।

তবে ৩ ডিসেম্বরসিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে প্রার্থী করা হয় ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের সনাতন শাখার সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই মাঠে নেমেছেন তিনি। সাবেক মনোনীত প্রার্থী আবু ইউসুফসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে রয়েছেন।

বিএনপির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী—জিয়াউর রহমান পাপুল ও আমির এজাজ খান। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর আমির এজাজ খান দলীয় মনোনয়ন পান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পাপুলের সমর্থকরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন।

এ ছাড়া এনসিপির ওয়াহিদ উজ জামান, সিপিবির কিশোর রায়, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবু সাঈদ, খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইমদাদুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার অনুপ মণ্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) খুলনার সবচেয়ে আলোচিত ও মর্যাদাপূর্ণ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।

শেষ পর্যন্ত দল ভরসা রাখে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ওপর। তবে মনোনয়ন ঘোষণার পরও নগর বিএনপির বড় একটি অংশ তার প্রতি অনাগ্রহ দেখাচ্ছে।

জামায়াত মনোনয়ন দিয়েছে মহানগর সেক্রেটারি ও সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হেলালকে। নিয়মিত গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।

এ ছাড়া এনসিপির ফরিদুল হক, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি আমানুল্লাহ, খেলাফত মজলিসের শহিদুল ইসলাম ও সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী।

খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী)
এই আসনে বিএনপির একক প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায় তার পক্ষে মাঠে সক্রিয় রয়েছে দল ও অঙ্গসংগঠনগুলো।

জামায়াতের প্রার্থী মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানও ধারাবাহিকভাবে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুল আওয়াল, খেলাফত মজলিসের হারুন অর রশিদ ও বাসদের জনার্দন দত্ত নান্টু প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন।

খুলনা-৪ (রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা) এই আসনে বিএনপির প্রার্থী তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় তিনি।

মনোনয়ন ঘোষণার আগে কয়েক দফা সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা কবিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কাজ করছেন।

ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ ও খেলাফত মজলিসের মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনও প্রার্থী হয়েছেন। জোটগত নির্বাচন হলে আসনটি নিয়ে দরকষাকষির সম্ভাবনাও রয়েছে।

খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা)এই আসনটি নিয়ে সারা দেশের নজর। কারণ, এখানে জামায়াতের প্রার্থী দলের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার। সাবেক এমপি হিসেবে এলাকায় তার শক্ত অবস্থান রয়েছে।

তার বিপরীতে বিএনপি প্রার্থী করেছে সাবেক এমপি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবিকে। তবে দলের ভেতরের একাধিক দাবিদার এখনো মাঠে সক্রিয় থাকায় তাকে বাড়তি চাপ সামলাতে হচ্ছে।

এ ছাড়া খেলাফত মজলিসের মুফতি আবদুল জব্বার আজমী, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুস সালাম ও সিপিবির চিত্তরঞ্জন গোলদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) এ আসনে বিএনপির প্রার্থী জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী। স্থানীয় না হওয়ায় শুরুতে আপত্তি থাকলেও তিনি এলাকায় বাসা নিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। তবে দলের একাংশ এখনো তার সঙ্গে পুরোপুরি সক্রিয় হয়নি।

জামায়াতের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ২০১৮ সাল থেকে নিয়মিত এলাকায় কাজ করছেন। ফলে সাংগঠনিকভাবে এ আসনে জামায়াত বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

সব মিলিয়ে খুলনার ছয়টি আসনেই ভোটের রাজনীতি এখন চরম উত্তাপে। মনোনয়নজনিত ক্ষোভ, জোট সমীকরণ আর হেভিওয়েট প্রার্থীদের লড়াই—সবকিছু মিলিয়ে খুলনা হয়ে উঠেছে আসন্ন নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত রণক্ষেত্র।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।