আহমেদ সিফাত, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব–কুলিয়ারচর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মো. শরীফুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে তিনি কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন খন্দকারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম।
মনোনয়ন দাখিলকালে শরীফুল আলমের সঙ্গে ছিলেন কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল মিল্লাত, সাধারণ সম্পাদক এম. এ. হান্নান, কুলিয়ারচর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শাহ আলম এবং কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান।
মনোনয়ন দাখিলের দিনটি শুরু হয় বেতিয়ারকান্দি পৌর সদর এলাকায় অবস্থিত তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে। এতে দেশ ও জাতির শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনার পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এর আগে তিনি তার মরহুম পিতা, আলম গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিদ্দিক মিয়ার কবর জিয়ারত করেন।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেন,“এই এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চাই। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যেই আমরা নির্বাচনী মাঠে নেমেছি।”
তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ভৈরব ও কুলিয়ারচর অঞ্চলের নদীভাঙন, বেকারত্ব, কৃষিখাতের সংকটসহ দীর্ঘদিনের অবহেলিত সমস্যাগুলো সমাধানে একটি বাস্তবসম্মত ও পরিকল্পিত উন্নয়ন রূপরেখা বাস্তবায়নে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ।
মনোনয়ন দাখিলকে কেন্দ্র করে ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলায় অন্যান্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ কার্যক্রমও জোরদার হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, নির্বাচনী আমেজে এলাকায় ইতোমধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ভোটাররাও আসন্ন নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

