রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মুচিদহ, শায়েস্তাপুর ও গাবলা এলাকায় সন্ত্রাসী আরিফ বাহিনীর দৌরাত্ম্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় বিএনপির সভাপতি ও নির্যাতিত এলাকার বাসিন্দারা।
রোববার সকাল ১০:৩০ টায় রাজবাড়ী শহরের একটি দৈনিক পত্রিকার অফিসে ‘মুচিদহ, শায়েস্তাপুর ও গাবলা এলাকার নির্যাতিতরা’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাহাম্মুদ হাসান কাজলসহ একাধিক ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, আরিফ খান (৪৫) ও তার বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালাচ্ছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে জীবনযাপন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিভিন্ন দোকান থেকে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে চাল, আটা, চিনি, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় মালামাল জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছে, যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বেশি। এছাড়া গত ৪ ডিসেম্বর এলাকায় হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগও ওঠে।
ভুক্তভোগীরা জানান, আরিফ বাহিনীতে স্থানীয় হাবিব মেম্বার, লিটু খান, সেলিম শিকদার ও রিপন শেখসহ ১৫–২০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছেন। কিছু পরিবার এলাকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের পরে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ বলেন, “নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব পুলিশই বহন করে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে আরিফ খান দাবি করেছেন, তার ভাই আমজাদ খানের হত্যার ঘটনায় মাহাম্মুদ হাসান কাজল জড়িত। হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে কাজল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

