নোয়াখালী প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৫) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।
এক শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, “আপসহীন দেশনেত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।”
তিনি আরও বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর সাহসী ও আপসহীন ভূমিকা এ দেশের মানুষ চিরকাল স্মরণ রাখবে। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন অকুতোভয় ও দূরদর্শী নেত্রীকে হারালো। দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সঠিক দিকনির্দেশনা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।” মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন বলেও তিনি দোয়া করেন।
শোকবার্তায় নোবিপ্রবি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বেগম খালেদা জিয়ার অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ২০০৩ সালের ১১ অক্টোবর পবিত্র শবে বরাতের দিনে বেগম খালেদা জিয়া নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ৬ এপ্রিল তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর ধারাবাহিকতায় একই বছরের ২২ জুন থেকে নোবিপ্রবিতে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে তাঁর এই অবদান নোবিপ্রবি পরিবার চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর ২০২৫ বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করে নিবিড় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

