সুজন মজুমদার, রামপাল বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
খুব শীঘ্রই রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদানে যাবে। আগামী মার্চ মাসেই এর সম্ভাবনা রয়েছে। বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এস শনিবার (৪ ডিসেম্বর) এসব কথা জানান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান।
এ সময় তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানী (প্রাঃ) লিমিটেড'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মোহসিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোডের্র চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন, সদস্য মোঃ মাহবুবুর রহমান, পিজিসিবি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেনসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উর্ধতন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। শনিবার দুপুরে প্রকল্প মুল্যায়ন সভায় অংশ নেন সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান। এ সময় প্লান্ট চত্বরে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।
এছাড়া বিকেলে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড পক্ষ থেকে স্থানীয় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন তিনি। মূল্যায়ন সভা শেষে বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রামপাল পাওয়ার প্লান্টের নির্মাণ কাজ থেমে থাকেনি। দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প হিসেবে রামপাল পাওয়ার প্লান্টের সার্বিক কর্মকান্ড এগিয়ে চলছে। আশা করি খুব শীঘ্রই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী-কৈগর্দ্দাশকাঠি মৌজায় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানীর যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ করছে। ১৮৩৪ একর জমির উপর এই প্রকল্পটি নির্মাণ হচ্ছে। রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ প্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ডিসেম্বরেই আমাদের উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবে ভারত থেকে নির্মাণ শ্রমিক আনা-নেয়ায় জটিলতাসহ সমসাময়িক নানা প্রতিকুলতায় কারণেই উৎপাদনে যাওয়া টার্গেট বিলম্ব হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.