Nabadhara
ঢাকামঙ্গলবার , ১৫ মার্চ ২০২২
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টুঙ্গিপাড়া আজ যেন শুধুই বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি

MEHADI HASAN
মার্চ ১৫, ২০২২ ৮:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মেজবা রহমান;স্টাফ রিপোর্টারঃ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় ঘুমিয়ে আছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাশেই ঘুমিয়ে আছেন তার পিতা-মাতা। প্রতিদিন সেখানে ছুটে যাচ্ছেন ছেলে-বুড়ো হাজারো মানুষ। ছুটে যাচ্ছেন প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা থেকে সর্বনিম্ম পদের কর্মীটি পর্যন্ত।

দর্শনার্থীদের জন্য কমপ্লেক্স খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সবাই বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে, প্রাণের আকুতি ঢেলে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। আবার ফাতেহা পাঠ করে তার এবং তার পরিবারের আত্মার শান্তির জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে মন খুলে দোয়া করছেন। এ যেন এক পবিত্র তীর্থ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বসাধারণ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি, আন্দোলন-সংগ্রাম, বর্ণাঢ্য জীবন ও ত্যাগ সম্পর্কে জানতে পেরে আনন্দিত, গর্বিত। গ্রামটি পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে হলেও গ্রামের নামেই উপজেলা সদরের নাম হয়েছে টুঙ্গীপাড়া। গোটা টুঙ্গীপাড়াকেই আজ বদলে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল। গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে নিরিবিলি এই টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম হয় বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। আবার এই গ্রামেই প্রকৃতির মমতাঘেরা কোলে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বঙ্গবন্ধু।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯৯ সালের ১৭ মার্চ সমাধিসৌধের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ৩৮.৩০ একর জমির ওপর ১৭ কোটি ১১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয়ে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সহযোগিতায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এ সমাধিসৌধ নির্মাণ করে।

টুঙ্গীপাড়ার বাগিয়া (বাইগার) নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে এ মাজার কমপ্লেক্স। লাল সিরামিক ইট আর সাদা-কালো টাইলস দিয়ে গ্রিক স্থাপত্যশৈলীর আদলে নির্মিত সৌধের কারুকার্যে ফুটে উঠেছে বেদনা ও শোকের আবহ। মাজার কমপ্লেক্সের পাঠাগারে কয়েকহাজার বই রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ‘আমার কিছু কথা’, শেখ হাসিনার লেখা ‘আমার পিতা শেখ মুজিব’, ‘ওরা টোকাই কেন’ প্রভৃতি গ্রন্থ। এক নম্বর ফটকের প্রবেশমুখ ও দুই নম্বর ফটকের সামনে দুটি সাইনবোর্ডে সুন্দর দুটি কবিতা লিখে রাখা হয়েছে। শুধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স নয়, এর আশপাশের এলাকায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত অনেক কিছুই দেখার রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলার খেলার মাঠ, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় বালিশা আমগাছ, শেখবাড়ি জামে মসজিদ (স্থাপিত ১৮৫৪ সাল) হিজলতলা ঘাট, রকেট স্টিমার ঘাট ও লঞ্চঘাট। মোটকথা টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এসব স্থানে ভ্রমণ করে মুজিবপ্রেমীদের মনে জীবন্ত কিংবদন্তি বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি ধরা দেয়।

তাইতো, কবি অন্নদাশঙ্কর রায়ের কবিতার ফুটে উঠেছে – ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা/গৌরী মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার/শেখ মুজিবুর রহমান।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।